"A little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God." Francis Bacon.
মুসলমানদের ভারত আগমণের তথ্যঃ
ভারতের পরলোকগত মনীষী হযরত মাওলানা হুসাইন আহমদ লিখিত একটি তাথ্যিক পুস্তিকা অবলম্বণ করে বলা যায় যে, পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আঃ) স্বর্গ হতে বিতাড়িত হয়ে সর্বপ্রথম পদার্পণ করেছিলেন ভূমন্ডলের ভারত ভূমিতেই । জায়গাটা ছিল সিংহল, যেটা তখন ভারতেরই অর্ন্তভূক্ত ছিল । আর আদম, ইভ, জান্নাত ইত্যাদি এসব কুরআনের-ই কাহিনী ।
ইসলাম ধর্ম বলে, আল্লাহর প্রচূর পরিমাণে ফিরিশ্তা আছে , তাদের মধ্যে প্রধানতম হযরত জিব্রাইল (আঃ) । তার পৃথিবীতে প্রথম পদধূলি পড়েছিল আমাদেরই ভারতে ।
যেহেতু প্রত্যেক নবীর নিকটে তাকে আল্লাহর প্রত্যাদেশ পৌছাতে হতো । এটাও বিশ্বের মুসলমানদের নিকট ভারতের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য ।
হযরত মুহাম্মদের জামাত ও চতুর্থ খলীফা হযরত আলীর সময় ভারতের সঙ্গে আরবের কোন যোগাযোগ হয়নি । অথচ এমন কথা তিনি বলে গেছেন যাতে অবাক না হয়ে পারা যায় না । যার মর্মানুবাদ হচ্ছে এই ' ভারতভূমি - যেখানে হযরত আদম (আঃ) স্বর্গ হতে নেমে এসেছিলেন এবং মক্বার ভূমি যা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) দ্বারা সম্মন্ধযুক্ত এই দুই স্হান উত্তম ভূ-খন্ড ।
' এতএব, এই মুসলমানদের ভারতপ্রেম যে এক পবিত্র ধর্মীয় কারণ তা বোঝায় ।
ভারতের অযোধ্যায় এক বিরাট মন্দিরের পাশে সুদীর্ঘ এক কবর রয়েছে যেটা সম্মন্ধে যুগ যুগ ধরে জনশ্রূতি - ঐ সামাধি হযরত শীষ (আঃ) , যিনি আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) এর পুত্র ।
হযরত আলীকে সিরিয়ার একজন মনীষী জিজ্ঞেস করেছিলেন, ভূ-মন্ডলে গুরুত্বব্যন্জক দেশ কোনটি ? উত্তরে তিনি বলেন- সেই দেশ , যাকে সরণদ্বীপ বলা হয় । যেখানে আদম (আঃ) স্বর্গ হতে নেমে এসেছিলেন ।
গবেষক ডাঃ মুহাম্মদ আলী তার লেখায় উল্লেখ করেছেন -'বিশ্বনবী নিজেও ভারতকে ভালোবাসতেন ।
তিনি একবার বলেছিলেন, ভারত হতে আমার প্রতি স্নিগ্ধশীতল হাওয়ার হিল্লো ভেসে আসে । '
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাহাবী ইবনে আব্বাসের বর্ণনায় প্রমাণিত হয় যে, বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ পাঠানো পূর্বে সমস্ত আত্নাকে একত্রিত করে প্রশ্ন করেছিলেন, আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই ? উত্তরে প্রত্যেক মানুষের আত্না বলেছিল - নিশ্চয়ই আপনি আমাদের প্রভূ । বলাবাহুল্য, এই আত্না-সমাজের একত্রীকরণ পৃথিবীর যে স্হানে হয়েছিল তা ভারতভূমির মধ্যে গণ্য ।
সুগন্ধময় স্বর্গ হতে হযরত আদম (আঃ) যখন ভারতে আসলেন তখন স্বগীয় সুগন্ধে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমোদিত ছিল । তাই লেখকের ধারণা ভারতের সুগন্ধদ্রব্য তুলনামূলক হিসেবে পৃথিবী বিখ্যাত ।
যেমন, ভারতের মৃগনাভি, কর্পূর, চন্দন, কাঠ, জাফরান, কেওড়া এবং তীব্র গন্ধের পুস্প প্রাচুর্য ও মাধুর্য অস্বীকার করা যায় না ।
হযরত আদম যখন স্বর্গোদ্যান থেকে পৃথিবীতে আসেন তখন স্বর্গ হতে এক খন্ড পাথর সঙ্গে এনেছিলেন যেটার নাম, হজরে আসওয়াদ । বর্তমানে পাথরটা মক্বার কাবা ঘরে বহিঃপ্রাচীরের এক কোণে লাগাণো আছে । সেই পবিত্র পাথর পৃথিবীর প্রথম যেখানে স্পর্শিত হয়েছিল সেটাও ছিল ভারতবর্ষ ।
বিশ্বনবীর সঙ্গী হযরত আবু হোরায়রা হতে বর্ণিত আছে, হযরত আদম (আঃ) কে পৃথিবীতে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে হযরত জীব্রাঈল (আঃ) কে পাঠানো হয়েছিল ।
তিনি পৃথিবীতে শুভাগমন করে বর্তমানের আজান ধ্বানির মতো শব্দ করেন । তাতে মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ কথাও ধ্বণিত হয়েছিল । তখন আদম (আঃ) জিব্রাঈল কে প্রশ্ন করেছিলেন 'মুহাম্মদ' ব্যাক্তিটি কে ? উত্তরে জিব্রাঈল (আঃ) বলেছিলেন , 'ইনি আপনার সন্তানদের মধ্যে সর্বশেষ নবী ' । [দ্রঃ তিবরাণী গ্রন্হ ]
এই বিষয়ে শেষ কথা হচ্ছে এই - হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শেষ নবী ছিলেন, তার ওপর ওহী বা আল্লাহর আদেশ বাণী অবতীর্ণ হতো । সেই বানীগুলোই কুরআনের বাক্য হয়েছে ।
আর তার কথা, কাজ ও সমর্থিত বিষয়গুলো হাদীস বলে গন্য । প্রত্যেক মুসলমানের নিকট হাদীসের মূল্য কুরআনের পরেই গ্রহণযোগ্য । আর এই হাদীসেই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) স্পষ্ট ভাষায় বলে গেছেন ভারতে কথা । ভারতকে তিনি 'হিন্দু' বলেই আখ্যায়িত করেছেণ । যেমন একটা হাদীসের বঙ্গার্থ হচ্ছে এই - সাহাবী হযরত আবু হোরায়রা বলেছেন - , 'আল্লাহর রাসূল আমাদের ভারত (হিন্দু) বিজয়ের নিশ্চিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ।
অতএব যদি আমি সেই সময় পর্যন্ত জীবিত থাকি তবে আমি তাতে আমার জান-মাল ব্যয় করতে কুণ্ঠিত হবো না । এতে যদি আমাকে নিহত হতে হয় তাহলেও আমি শ্রেষ্ঠ শহীদে পরিণত হবো । আর যদি শান্তিতে ফিরে আসি তবে আমি নরকমুক্ত আবু হোরায়রা । ' [দ্রঃ নাসায়ী, ২ য় খন্ড, পৃঃ ৬২]
[সূত্রঃ চেপে রাখা ইতিহাস, গোলাম আহমাদ মোর্তজা , মদীনা পাবলিকেশন্স । ]
[প্রাসঙ্গিক হিসেবে বলছি, আমি ইতোঃপূর্বে শ্রীলংকায় আদম (আঃ) এর পায়ের ছাপ নিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম যার লিংক হলো -
Click This Link
আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন , সে পোষ্ট দেয়ার পর আমি এ বইটি পাই বিধায় এই বইয়ের কোন তথ্য সেখানে দিতে পারিনি ।
এছাড়া আরেকটি পোষ্টও পাঠকগণ পড়ে দেখতে পারেন এই প্রসঙ্গে সেটা হলো - সনাতন ধর্ম (হিন্দু ) ও ইসলাম এর মধ্যে যোগ সম্পর্ক-২ (কাবা শরীফ)
Click This Link
যেটাও অনেকের কাছে ভালো লাগবে নিঃসন্দেহে , যেখানে অনেক মিল খুজে পাওয়া যায় , যা আমার কাছে চমকপ্রদ মনে হয়েছে । ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।