কোনো কোনো আধুনিক ঐতিহাসিক মনে করেন, ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যেই সবুক্তগীন ভারতবর্ষে অভিযান করেছিলেন। ড. ঈশ্বরী প্রসাদও অনুরূপ ধারণা পোষণ করেন। এ যুগ ছিল মুসলমানদের জন্য সম্প্রসারণের যুগ এবং মুসলমান শাসকদের অনেকেরই পররাজ্য আক্রমণের পশ্চাতে ধর্মীয় আবেগ ও উচ্ছ্বাস ছিল। কিন্তু সবুক্তগীন কেবল ধর্মপ্রচারের জন্য ভারত আক্রমণ করেছিলেন, এটি সত্য বলে মনে হয় না। সম্ভবত হিন্দুরাজ্য জয়পালের শত্রুতায় উত্তেজিত হয়ে তাকে শায়েস্তা করার জন্য তিনি তার রাজ্য আক্রমণ করেছিলেন।
হেইগ বলেন, 'ধর্ম প্রচারের আকাঙ্ক্ষা অপেক্ষা প্রতিশোধ গ্রহণ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিধানের জন্য তিনি এসব অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। জয়পালের কার্যক্রম সবুক্তগীনকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে বাধ্য করে এবং অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কয়েকটি দুর্গ অধিকার করেন। মুসলমানদের বিজয়ে জয়পাল শঙ্কিত হলেন। অতএব মুসলমানদের বিতাড়নের জন্য তিনি হিন্দু রাজন্যবর্গ সমবায়ে এক বিরাট সেনাবাহিনী গঠন করলেন। উত্তর-ভারতের অনেক রাজা মুসলমানদের অগ্রগতি রোধ করার জন্য তার পক্ষে যোগ দিলেন।
কিন্তু এ সমবেত শক্তিও পেশোয়ারের নিকটবর্তী যুদ্ধক্ষেত্রে (৯৯১ খ্রি.) পুনরায় পরাজিত হয়ে লামঘান এবং পেশোয়ারের মধ্যবর্তী ক্ষুদ্র রাজ্যগুলো গজনী সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলো। ভারতবর্ষের মাত্র কয়েকটি স্থানে সুবক্তগীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।