উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
প্রণয় বিজ্ঞপ্তি
যা ছোঁয়া গেলো না, তাঁর বিনীত মুখোশে
নিরব ঘাতকের চাবির দাগ। বীক্ষণের নিস্তব্ধ মস্তিস্কে যেসব
পাখির কঙ্কালে জেগে উঠছে ঘাস, হারানো মানুষের প্রস্ফুটিত স্বপ্ন
ভেসে উঠছে তাতে, ঠুনকো রোদের ফুটপাথে
ঘরভেঙে যাওয়া সাদা পালকেরা শুয়ে আছে। তাঁর ছায়ার
ধুলোতে মিশে গিয়ে দেখা যায়, এইসব মানুষেরা চাবির দাগে
উড়ছে দর্পণের প্রণয় বিজ্ঞপ্তি।
রাতপরী
রাতপরী, সে তো এক অসুখের নাম,
এপ্রোনের ঘ্রাণে ঘুরে যায় বিমুগ্ধসরণী -
তার বাঁকে অনাথ বেগুণী শিস
- ভাঙতেছে সিঁড়ি। চিলেকোঠায় স্পর্শ রজনী
কখনো কখনো মনে হয় এই অসুখের
নেমপ্লেটে - ঝুলে থাক বারুদ মর্মর
খোলা বারান্দায় এক পলকের বিদ্যুৎস্নানে
স্পষ্ট মুখ - গভীর বেহালা। সুরাচন্দ্রযান
সূর্য নয় - এখন সমুদ্র ফুঁসছে দেওয়ালে
কৃৎকৌশলী তার ছায়া দুলছে, স্তব্ধ
গভীর বনভূমির আকর্ষণে নড়ে যাচ্ছে সাঁকো
- আঁকা হচ্ছে বেহালাসুড়ঙ্গ
পথের ময়ূরে।
পথ হারানো স্বপ্নের পালে উড়ে যাবে,
- সবুজ ঘুড়ি, ঘুড়ি আকাশে
একাকী জাগে মেনকা-কেশী অধীর সিম্ফনি।
ডমরুপাড়ার ধ্বনি
হায়! মেঘ, তুমি উড়ে যেওনা, আর একটু থাকো - কমল চূড়া ঘেষে, পাখি হবো, তোমাদের বংশে জন্ম নেবো, ফুল আর চন্দনার ডানায় সংসার পাতবো, ঘাসেদের যৌবনে ফুটে উঠবো - ডমরুপাড়ার ধ্বনি..
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।