নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান, আর মানুষ, সকালের শিশির, সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে এই আন্দোলন শুরুর দুদিন পরেও যাদের দেখেছি এই আন্দোলন নিয়ে নাক সিটকাতে, তাদের ভাষ্য এইটা হলো খাইয়া দাইয়া কাম নাইদের অনলাইনে টাইম পাসিংদের হুজুগে আন্দোলন, আজ দেখছি তারাও বৌ বাচ্চাসমেত বেরিয়ে পড়েছেন ঘর থেকে গন্তব্য একটাই প্রজন্ম চত্বর শাহবাগ, খুব ভালো লাগছে, এই জনস্রোতে আমার দেখা হয়ে যাচ্ছে এদের সাথে, একাত্মতায় বুকে জড়িয়ে ধরছেন কেউ কেউ, এ এক অন্য রকম প্রশান্তি, পাকিস্তানী পণ্য বর্জনের প্রশ্নে এদের কারো কারো সাথে আমার শুধু হাতাহাতিই টুকুই বাকি ছিলো, এই মঞ্চ থেকে পাকি সংশ্লিষ্ট পণ্য-প্রতিষ্ঠান বর্জনের ঘোষনা আসায় সত্যি আমারতো দাম বাইড়া গেছে, যেন ঘোষনাটা আমিই দিছি! আমার এক বন্ধু কাল বললো চৈতী -এত দামী দামী পছন্দের পাকিস্তানী থ্রিপিছগুলো নিয়ে এখন কি করি? একজন বললো কাজের বুয়াদের দিয়ে দাও, আমি বললাম দেখো রিক্সাওয়ালারাও যেখানে দেশ মায়ের প্রশ্নে ফ্রিতে মানুষকে শাহবাগ পৌঁছে দিচ্ছে তাতে মনে হয় না কাজের বুয়ারাও এই সব পাকি আবর্জনা হজম করতে রাজি হবে তার চেয়ে তুমি এক কাজ করো এই আবর্জনা তুমি শাহবাগে নিয়ে গিয়ে রাজাকার নিধনের যজ্ঞের আগুনে পুড়িয়ে দাও, মিডিয়া কাভারেজ পাইবা লস পোষাইয়া যাবে। থ্রিপিসের দুঃখে এমন মূল্যবান ফ্রি একটা পরামর্শেও বন্ধুর মুখে হাসি ফুটলো না, সে বিমর্ষ হয়েই খাইয়া দাইয়া কাম নাইদের সাথে জোরে কন্ঠ ছেড়ে শ্লোগান ধরলো - ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই রাজাকারের ফাঁসি চাই, এ অর্জন নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের, আর আমরা যারা আজন্ম মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অতিরিক্তমাত্রায় আবেগ প্রবণ বলে কপালে জুটেছিলো পাগল আখ্যা, তারা আজ প্রকৃতি থেকে টেনে নিচ্ছি একটু বেশি অক্সিজেন, জোরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবো বলে, কিন্তু তা কি পারছি? আজ পাঁচ দিনে পড়লো এই গণ আন্দোলন, মেয়ের স্কুলে এক জন বললো- নাওয়া খাওয়া ঘর সংসার ফেলে শাহবাগেতো আস্তানা গেড়েছো খালি হাতে ফিরলে কিন্ত খবর আছে, আগে ভাগে একটা হিজাব কিনে নাও আত্মগোপন করতে হবে না? ভয়ের সরিস্রীপ কি শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেলো! নিজেকেই যেন অভয় দিলাম শ্লোগান ধরলাম মনে মনে -এ লড়াই বাঁচার লড়াই এ লড়াইয়ে জিততে হবে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।