হাসান শিপলু: বিএনপির সকল পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতা চৌধুরী তানবীর আহমেদ সিদ্দিকী দাবি করেছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি। গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমি এখনো দলের প্রাথমিক সদস্যসহ স্থায়ী কমিটির পদে বহাল আছি। তিনি বলেন, আশা করি স্থায়ী কমিটির শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং আমার বিরুদ্ধে দেয়া আদেশ প্রত্যাহার করবে। কারণ গঠনতন্ত্রের কোথাও একজনের কারণে আরেকজনকে শাস্তি দেয়ার কথা উল্লেখ নেই।
তিনি গতকাল তার গুলশানের বাসায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ইতিপুর্বে কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে দল ও চেয়ারপারসনকে কটাক্ষ করে বহাল আছেন। বহিষ্কার করে প্রত্যাহারও করে নেয়া হয়েছে। আমিও আমার বিরুদ্ধে দেয়া আদেশ প্রত্যাহারের সবিনয় অনুরোধ করছি। রাজনীতি সম্মানের জন্য, অসম্মানিত করে বের করে দেয়ার জন্য নয়। বহিষ্কার করতে করতে যেন দল নেতৃত্বশূন্য না হয়।
বিএনপি রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অবদানের কথা তুলে ধরে তানবীর সিদ্দিকী বলেন, আমি অনেক কিছুই জানি কিন্তু বলব না- ‘অনেক কথা যায়যে বলে কোনো কথা না বলে। ’
বিএনপি চেয়ারপারসনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যখন তোমার কেউ ছিল না তখন ছিলাম আমি, এখন তোমার সব হয়েছে পর হয়েছি আমি’। তিনি আরো বলেন, জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলাম, দলের গঠনতন্ত্র প্রণয়নকারীদের অন্যতম ছিলাম। তাই আমার ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র প্রয়োগের আগে চিন্তা করতে হবে। ঘোড়ার দরের সঙ্গে ছাগলের দরের তুলনা করলে হবে না।
তানভীর বলেন, সংবিধান প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে সুপ্রিমকোর্ট, কিন্তু রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা কে দেবে? বিএনপির লাখো কোটি নেতাকর্মী ছাড়াও দেশের পনের কোটি মানুষ জানতে চায় কী ছিল আমার অপরাধ।
নিজেকে মি. ক্লিন দাবি করে তানবীর আহম্মেদ সিদ্দিকী বলেন, ওয়ান ইলেভের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবোরের বিরুদ্ধে যারা কটূক্তি করেছিল তারাই এখন দলের বড় বড় পদে বসে আছে। তিনি বলেন, আমি ক্ষমতার স্বাদ নেইনি। কোন টিভি চ্যানেল, ব্যাংক চাইনি এমনকি কোনো চেয়ারও নয়। দলের একজন নির্লোভ ব্যক্তি হিসিবে আমাকে পুরষ্কারের পরিবর্তে তিরস্কার করা হলো, এটা মেনে নেয়া যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।