নতুন কিছু জানতে চাই নীতি আদর্শ বলতে একটি কথা আছে। মানুষ শিক্ষা দীক্ষায় যত উন্নত হয় ততই তার মধ্যে নীতি-আদর্শবোধ জাগ্রত হতে থাকে। কিন্তু বিষ্ময়ের বিষয় হচ্ছে,কিছু মানুষ আছে যাদের কোন নীতি আদর্শ নেই, এবং এক্ষেত্রে তাদের বোধশক্তিও নিঃক্রিয়। লাম্পট্য,স্বার্থপরতা,মিথ্যা,হিংসা-বিদ্বেষ ও বিশ্বাসঘাতকতার মত নেতিবাচক বিষয়গুলো- এসব নীতিহীন, আদর্শহীন মানুষগুলোর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়।
যখন নেতিবাচক গুণগুলো মানুষের চরিত্রকে ঘিরে ফেলে তখনি এসব মানুষ মৌলবাদের দিকে ঝুকে পড়ে।
এজন্য সাধারণত কোন সুস্থ্য বিবেকবান মানুষকে মৌলবাদী হতে দেখা যায় না। আমাদের সমাজে বহু আলেম আছেন,পীর মাশায়েখ আছেন যারা অত্যন্ত স্বনামধন্য। তারা মৌলবাদী নন। তারা বরং মানুষকে উপরোক্ত নেতিবাচক গুণগুলো থেকে মুক্ত করে আদর্শ ও নীতিবান মানুষ বানাবার কাজে ব্রত রয়েছেন।
কিন্তু মৌলবাদীরা যতই ধর্মের কথা বলুক না কেন ওরা নিজেরাও মানুষ নয় আর অন্যকেও অমানুষ বানায়।
৭১ আমাদের সামনে এই বাস্তবতাই ফুটিয়ে তুলেছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে কোন ধর্মপ্রাণ মানুষ হত্যা,লূট বা ধর্ষনের মত পাপে লিপ্ত হয় নি,কিন্তু মৌলবাদীরা অবলীলায় তাতে লিপ্ত থেকেছে। পাপ তাদেরকে ৪০ বছর পরও তাড়া করছে। করবেই। কারণ পাপ নাকি বাপকেও ছাড়ে না।
নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে তেহরান রেডিও এখন মৌলবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আসলে তেহরান রেডিও নয় গোটা ইরানই ৭৯ সালের পর থেকে মৌলবাদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু গোটা ইরান ইরানী মৌলবাদিদের ঘাঁটি আর তেহরান রেডিও হচ্ছে বাংলাদেশী মৌলবাদিদের ঘাঁটি।
তেহরান রেডিও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সম্পূর্ণ জামাত-শিবিরের মাধ্যমে। কিন্তু ওরা সেখানে শিবির বা জামাত পরিচয়ে সক্রিয় নয়।
ওরা সবাই সেখানে শিয়া ধর্ম গ্রহণ করে ইরানী কর্তৃপক্ষের আস্থা অর্জন করেছে।
যতটুকু জানা গেছে,তেহরান রেডিওর নিয়ন্তা হচ্ছে মুজাহিদুল ইসলাম নামে এক ছাগু। যার বাবা-চাচাসহ পরিবারের সবাই জামাতের সক্রিয় সদস্য। মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর নির্বাচনি এলাকায় তার বাড়ি। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক হেমায়েত উদ্দীনের এই পুত্র এখন তেহরানে সুন্নি বিরোধী উগ্র শিয়া হিসেবে পরিচিত।
তবে দেশে আসলে আবার তিনি জামাত-শিবির হয়ে যান। সামহোয়্যার ব্লগে তিনি চঞ্চল বালী নামে লিখে থাকেন। তার পোষ্টগুলো পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবেন যে তিনি "বালী" বা হিন্দু সম্প্রদায়ের নন। তার অধিকাংশ পোষ্টেই রয়েছে তেহরান রেডিও'র লিঙ্ক। কর্তৃপক্ষের নজর এড়ানোর জন্য মাঝেমধ্যে অন্যকোন সাইটের লিঙ্ক দিলেও ৯৫ ভাগ লিঙ্কই হলো তেহরান রেডিও'র।
তেহরান রেডিও'র ওয়েবসাইটে হিট বাড়ানোর জন্য চমকপ্রদ খবর নেকেট ও চমকপ্রদ ছবিসহ তিনি লিঙ্ক দিয়ে থাকেন। এছাড়া ব্লগিং বাবদ তিনি ইরানী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মাসোহারাও আদায় করছেন।
আরেকজন হিরক রাজা, ইবনে সালাম এবং বিভিন্ন ছদ্মনামে তেহরান রেডিও'র লিঙ্ক দিচ্ছেন দেদারসে। তিনি বাংলাদেশের জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার অধিবাসি এবং শিবিরের সদস্য আশরাফুর রহমান আকন্দ। যিনি আশরাফ ছাগু নামে ব্লগে কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
তিনিও তেহরানে শিয়া আবার বাংলাদেশে জামাতের সক্রিয় সদস্য।
এই যে দুই দেশে এদের দুই পরিচয়। এটা কি কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান করতে পারে ? এটা কি কোন নীতিবান মানুষের পক্ষে করা সম্ভব?
তাছাড়া তারা নিজেদের মৌলবাদী চরিত্র গোপন রাখতে পোষ্টগুলোতে যেসব অশালিন ছবি ব্যবহার করছে তা কি কোন ভালো মানুষের পক্ষে করা সম্ভব?
অশালিন এবং নেকেট ছবি দিয়ে তারা তেহরান রেডিও'র লিঙ্ক দিচ্ছে, আবার তেহরান রেডিও'র ওয়েবসাইটে ইসলামের কথা বলা হচ্ছে,বিষয়টি কতখানি জঘন্য তা সবা্র ভেবে দেখা উচিত।
কাজেই ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ যারাই তেহরান রেডিও'র লিঙ্ক দিয়ে ব্লগকে ঐ রেডিও'র প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তাদেরকে অচীরেই ব্যান করা হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।