সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে বি এন পি দলটি শোচনীয় পরাজয় বরন করার ফলে দলের নেত্রী দলটিকে সুসংগঠিত করার লক্ষে তৃণমূল পর্যায় থেকে সংস্কার ও পরিবর্তনের মাধ্যমে সংগঠিত করার প্রয়োজন অনুভব করলেন। সম্প্রতি কয়েকটি জনসভায় নেত্রী এই বিষয়ে উপস্হিত জনগনের নিকট খোলাখুলি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এটি একটি অত্যান্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
১/ ১১ এর তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহন করার পর দূর্নীতির অভিযোগে বি এন পি দলের বড়মাপের নেতাগণ একে একে কারাবরণ করতে থাকে ,পরবর্তিতে দলের কর্নধার স্বয়ং নেত্রী কারাগারে স্হান নিলে দলটি প্রায় নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়। দীর্ঘদিন নেতৃত্ব শূন্য থাকার ফলে স্বাভবত দলের ভেতর প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রবেশ করে এরং ধীরে ধীরে দলটি সন্ত্রাস ও মৌলবাদী জংগীদের আঁখড়াতে পরিনত হয়।
এক পর্যায়ে এই অপশক্তি ক্যান্সারের ন্যয় দলের কাঠামো ও স্বত্তাকে গ্রাস করে, এরই ফসল নির্বাচনে বি এন পির ভরাডুবি।
একজন গনতান্ত্রিকমনা নাগরিক হিসেবে আমি দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধীদলের অবস্হান কামনা করি। এই কারণে বর্তমানে দেশে অপেক্ষাকৃত দূর্বল বিরোধীদলের অবস্হান দেখে আমি শঙ্কিত। গনতান্ত্রিকধারাকে অধিকতর ফলপ্রসু করার জন্য প্রধান বিরোধীদলের হাতকে বেশী শক্তিশালী করার লক্ষে আমার সমর্থন প্রধান বিরোধীদলের পক্ষে থাকবে।
বিপযর্স্ত ,ভংঙ্গুর এই বি এন পি দলটিকে তৃণমূল থেকে সুসংগঠিত করার পদক্ষেপ গ্রহণের প্রচেষ্টার জন্য সত্যিকার অর্থেই দলের নেত্রী সাধুবাদ পাবার যোগ্যতা বহন করেন।
তবে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজিয়ে দলটিকে সুসংগঠিত করার পর দলটি যেন অতীতের পথে পথভ্রষ্ট না হয় সে দিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। দলের ভেতর প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক জীবানু মুক্ত না করে সংস্কার করা হলে সেটি কোন ভাবেই ফলপ্রসু হবে না। নর্দমাকে যে কোনো পাত্রে রেখে যে ভাবেই সাজানো হোক না কেন তার আকৃতির পরিবর্তন হবে না। জনগণ আজ রাজনৈতিক দৃষ্টিতে অনেক সচেতন এই চিন্তা মাথায় রেখে তাদের সামনে অগ্রসর হতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।