বুধবার গণভবনে এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলতি বছরের বই উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি।
বছরের শেষভাগে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যেও বই ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ সময়মতো শেষ করায় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে ‘সংগ্রামী অভিনন্দন’ জানান।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে একসেট বই তুলে দেন।
এ বছর চার কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৩১ কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার ৫২৬টি বই এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার দেশের সব স্কুলে উৎসবের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যাবে এসব বই।
এ উৎসবের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামীতে ছোট নোটবুক দিয়ে দেব, যেন তাতে সবই থাকে। ভবিষ্যতে ডিজিটাল বই দেয়া হবে। ”
“প্রত্যন্ত এলাকায় আর বই পাঠানোর দরকার হবে না। সব বই ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নেবে। ”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর সময়মতো বই দেয়া যাবে কিনা, পৌঁছানো সম্ভব হবে কি না- তা নিয়ে অনেকে ‘সন্দিহান’ ছিলেন।
“সময়মতো বই পৌছাঁনো হয়েছে। এজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে যারা বই ছাপা ও বাঁধাইয়ের সঙ্গে ছিলেন তাদের সবাইকে সংগ্রামী অভিনন্দন। ”
৩ কোটি ৮৬ লাখ মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের তরুণরা যাতে আউট সোর্সিংয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে- সে ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও তার রয়েছে।
২০১০ সাল থেকে সরকার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছে। গত চার বছরে ১২৪ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।