বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সামনেই মহাপরিচালক অধ্যাপক খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের বক্তব্য শেষ করেই প্রতিমন্ত্রী মহাপরিচালককে নিজের কাছে ডেকে বলেন, “রানা প্লাজা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন লিখেছেন তাতে সবার নাম থাকলেও আমার নাম নেই।
“আমি তো এনাম মেডিকেলে সাত ঘণ্টা ছিলাম। এটা প্রধানমন্ত্রীও জানেন। অনেক টেলিভিশন চ্যানেলে আমাকে সরাসরি দেখাও গেছে।
”
সাংবাদিকদের সামনেই মজিবুল রহমান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলেন, “আমার বিষয়ে একটু সচেতন হোন।
“একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছে। আমিও তাদের একজন হতে পারতাম।
“আমি স্পষ্টভাবে কথা বলতে পছন্দ করি।
তাই সবার সামনেই কথাটা বললাম। আশা করি আগামীতে এমনটা করবেন না। ”
সাভারের রানা প্লাজা ধস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো ওই প্রতিবেদনটি প্রতিমন্ত্রী সংশোধন করেছেন বলেও মহাপরিচালককে জানান।
এ সময় মহাপরিচালককে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রতিমন্ত্রীর কথার কোনো বিপরীতে কোনো কথা তিনি বলেননি।
এরপর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে বেরিয়ে সরাসরি তার দপ্তরে চলে যান মজিবুর রহমান। তখনো মহাপরিচলককে সম্মেলন কক্ষেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী না থাকায় প্রতিমন্ত্রীই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।