আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কে অমানুষ???------যদিও প্রশ্নটা অবান্তর!!!

আমি তোমাকে কবিতা দিলাম, কষ্ট দিলাম। ontim@yahoo.com

আমরা কি মানুষ? আমরা কি মানুষ হতে পেরেছি? অনেকের মনেই এ দুটি প্রশ্ন আসে তীব্র মনুষত্ববোধ থেকে আবার অনেকের কাছেই এই প্রশ্নগুলো নেহাতই অযৌক্তিক বিকৃত মস্তিস্কের ভাবনা মনে হতে পারে। সত্য কথা বলতে কি আমার নিজেকেই মানুষ বলে মনে হয় না কেননা কোন ক্ষুদার্ত দেখে আমি ব্যাকুল হই না যতটা একজন প্রকৃত মানুষের হওয়া উচিত। কেউ কোন সাহায্য চাইলে (যেমন:- মেয়ের বিয়ে, ছেলের পড়ানোর খরচ, মারাত্বক রোগ হয়েছে ইত্যাদি) তাকেও টাকা দিতে ইচ্ছা হয় না, কেননা তাদের ভন্ড মনে হয়। এখানে নতুন প্রশ্ন চলে আসে, কেন তাদের ভন্ড মনে হয়? একজন মানুষের কি কারও বিপদে এমন ভাবনা আনা উচিত? উত্তরে আমি বলব, আমি কোন কোমলমতি মানুষ নই তাই আমি অমানুষ কিন্তু সত্যই যদি তারা কপট বা ভন্ড হয়ে থাকে তবে তারা কি মানুষ? আমার দৃষ্টিতে যদি তারা এসব ভন্ডামি মাদকের জন্য না করে ক্ষুদার জন্য করে থাকে তবে তাদেরকে আমি অমানুষ মনে করার কোন অবকাশ দেখি না।

কারন একজন কোটিপতির কোটি কোটি থাকা সত্ত্বেও ক্ষুদার জ্বালায় লাখ লাখ মানুষ কাঁদে। এখানে সেই ক্ষুদার্তের কাছে এই কোটিপতির ব্যাংক ব্যালেন্সের কোন মুল্য নাই। তাই ক্ষুদার্তের কাছে কোটিপতিকে অমানুষ মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক অথচ সেইসব কোটিপতিদের দৃষ্টিতে গরিব কাঙালরা সব সময়েই অমানুষ! এখন একজন কোটিপতি ও বিশিষ্ট আমলা নিয়েই কথা বলি। সাজ্জাদ ও আহাদ আপন দুই ভাই অথচ যেখানে আহাদের নুন আনতে পানতা ফুরায় সেখানে সাজ্জাদ কোটি টাকার বিছানায় ঘুমায়। সাজ্জাদ ও আহাদ একই মায়ের গর্ভে হলেও আজ তারা শ্রেনীশত্রু।

হঠাৎ সাজ্জাদের মেয়ের বিয়ে ঠিক হল। এই বিয়েতে আহাদের মত নিন্মবিত্ত মুর্খদের ভাই হিসাবে পরিচয় দিলে তার প্রেষ্টিজ আর প্রেষ্টিজের জায়গায় থাকবে না বিধায় আহাদকে বিয়ের দাওয়াত দেয়া হয় না অন্যদিকে ভাইয়ের মেয়ের বিয়েতে না যাবার কারন হিসাবে গ্রামের লোকদের আহাদ বলে এতদূর গিয়ে বিয়ে খাওয়া তার শরীরে কুলায় না। কিন্তু আহাদ মনে মনে সাজ্জাদকে অমানুষের পাল্লায় দ্বার করায় আর এদিকে সাজ্জাদ মুর্খতার কারনেই আহাদকে মানুষ হিসাবে মনে করে না। সাজ্জাদের দৃষ্টিতে কোন মুর্খরাই মানুষ হতে পারে না! আহাদ ও সাজ্জাদ যদিও দুজন দুইপ্রান্তের মানুষ তবু আমি আপনি আমরা মিলেই কিন্তু এই সমাজে বাস করি। কেউ ইয়ার-কন্ডিশন্ড গাড়িতে চড়ে আবার কারও টাকা বাঁচানোর জন্য শরিরের ঘাম ঝড়ে।

আবার আমরা সবাই মিলেই ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করে আসছি। আমাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় মাপের মানুষ অথচ আমরা জানি কি এই সাধারন মানুষ এই প্রধানমন্ত্রীর চোখে সত্য সত্যই মানুষ হিসাবে গন্য হয় কিনা??? মানুষ ---------------------- আবেগের মৃত্যূতে ক্ষুব্ধ আমার হৃদয়ে বিরহের মঞ্চায়ন, পথভ্রষ্টের মিছিলে কষ্টের সেলাইয়ে দুঃখের সঞ্চালন। দৈন্যতার কান্নায় প্রাচুর্যের উপহাসে আমি হতবিহব্বল, অক্ষমতার আহাজারিতে আমি নির্ভীক সৈনিক হতাশার গহব্বরে। ঈশ্বর, আমি পাপহীন, দৈন্যতা সঙ্গী আমার জন্ম জন্মান্তরে শুধু তোমার দৃষ্টিহীন চক্ষুর জ্যোতির কারনে, তাইতো উদরে চলে অসহ্য যন্ত্রনা ক্ষুদার বিক্ষোভে। লুন্ঠিত দানার কারনে আমি বিপ্লবী, আমি ক্ষুদার্ত, আমি বড় বেশি স্বার্থপর চাহিদার রাজ্যে, তবুও আমি কাঙ্গাল লুন্ঠনকারীদের চোখে! আমি অবহেলিত, আমি নির্যাতিত অবাসযোগ্য পৃথিবীতে, আমি নিঃসঙ্গ, আমি নিঃসম্বল, আমি ক্ষুদার্ত আগ্রাসনে হাজতখানাতে, তবুও-তো আমি মানুষ পশুরূপী জীবনধারাতে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।