আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিভ্রান্তিকর জম্মতারিখ এবং বেগম খালেদা জিয়া।



আচ্ছা আমি একটা ব্যাপার বুঝি না একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী কেন নিজের জম্মতারিখ নিয়ে একটা রহস্যময় এবং ধোয়াঁসাময় ঘটনার সৃষ্টি করবেন? কেন তার ব্যাপারে সাধারন জনগণকে তামাশা করার সুযোগ দিবেন? খালেদা জিয়া আমাদের বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দুই বার নির্বাচিতও বটে। অথচ তিনি তার জম্মতারিখ নিয়ে বাচ্চা মেয়েদের মত উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন। যা একজন সাবেক প্রধানম্ত্রী হিসেবে তার চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। যে ব্যাক্তি নিজের জম্মতারিখ নিয়ে নিজেই সন্দিহান তিনি একজন জাতীয় নেত্রী হিসেবে কিভাবে সাধারণ জনগণকে দিকনির্দেশনা দিবেন? হায়রে অভাগা বাঙ্গালী!!! খালেদা জিয়া সম্প্রতি ভোটার তালিকায় তার জম্মতারিখ উল্লেখ করেছেন ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগষ্ট।

১৯৯৭ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবের্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানিয়েছিলেন, ১৯৬১ সালে খালেদা জিয়া দিনাজপুর সদর গার্লস স্কুল থেকে ম্যাটিকুলেশন পরীক্ষায় অংশ নেন (রোল নম্বর এফ-৭৯২)। ওই পরীক্ষায় খালেদা জিয়া জম্মতারিখ উল্লেখ করেছিলেন ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। তিনি অবশ্য ওই পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেননি। ১৯৭৮ সালের ১ এপ্রিল পাসপোর্ট চেয়ে করা আবেদন পত্রে খালেদা জিয়া তার জম্ম ১৯৪৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বলে উল্লেখ করেছিলেন। আবার মেজর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ের সনদে খালেদা জিয়ার জম্মতারিখ দেয়া হয় ১৯৪৭ সালের ৯ ই আগষ্ট।

একটা মানুষের এতগুলো জম্ম তারিখ কি করে হয়? সত্যিই বিচিত্র আমাদের এই বাংলাদেশ। বুঝি তার চেয়েও বিচিত্র এই দেশের একজন অন্যতম জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়া । প্রার্থনা-সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ১ ডিসেম্বর, ২০০৮

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.