আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিভ্রান্তিকর আইএসপিআর (ISPR)

অশরিরী আলোর তীব্র অপেক্ষায় পার করি প্রতিটি ন্যানো সেকেন্ড !!!

১৩ই নভেম্বর সকালে প্রথমে আইএসপিআর থেকে বলা হয়, খালেদা জিয়া আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বেচ্ছায় বাড়ি ছাড়ছেন। বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে আইএসপিআর-এর এই বক্তব্য প্রচার করা হয়। আরো মজার ব্যাপার হলো, আইএসপিআর ওইদিন টেলিভিশন চ্যনেল গুলোকে মৌখিক নির্দেশ প্রদান করে তাদের বক্তব্য স্ক্রল আকারে টেলিভিশন পর্দার নিচের দিকে দেখানোর জন্য। সকাল দশটায় জাহাঙ্গির গেটের কাছে একটি অস্থায়ী ক্যম্প গঠন করে আইএসপিআর। সেখান থেকে তারা জানায়, খালেদা জিয়ার কাছে তারা আশা করেন যে উনি আদালতের রায় মেনে নিয়ে বাসাটি ছেড়ে দিবেন এবং ক্যন্টনমেন্ট বোর্ড এ বিষয়টি তদারক করছে।

এ সময় সাংবাদিক রা আইএসপিআর এর পূর্বের তথ্যর সাথে অসমাঞ্জস্যতার বিষয়টি জানালে আইএসপিআর পরিচালক তা অস্বীকার করেন এবং বলেন তিনি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছেন তা তারা বলেননী বলেছেন তারা আশা করেন তিনি বাসা ছাড়বেন। যদিও তার অসামঞ্জস্যতার বিষয়টি যে ঠিক তা দিবালোকের মত স্পষ্ট। বিকাল ৩;৩০ মিনিটে আইএসপিআর জানায় যে খালেদা জিয়া বাসা ছেড়ে দিতে রাজী হয়েছেন এবং স্বেচ্ছায় তিনি বাসা থেকে এরই মধ্যে বেড়িয়ে গেছেন। যদিও খালেদা জিয়া’র প্রেস ব্রিফিং থেকে জানানো হয়, তাকে জোড় পূর্বক বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। দুটো বক্তব্যের ফুটেজ দেখার সময় খালেদার বক্তব্য কেই সঠিক মনে হয়েছে।

বরং আইএসপিআর পরিচালক কেই বক্তব্য প্রদানের সময় কিছুটা সময় নিয়ে এবং ভেবে বলতে দেখা গেছে। সাংবাদিক মিল্টন আনোয়ারের একটি রিপোর্ট আজ আমাদের সময় পত্রিকাতে এসেছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আইএসপি আর পরিচালক বলেন, ক্যন্টনমেন্ট বোর্ড আদালতের আদেশ অনুযায়ী জমির দখল নিচ্ছে। পরস্পর বিরোধী বক্তব্যদানের সময় তাকে বেশ নার্ভাস দেখাচ্ছিল। সন্ধ্যায় এক প্রেস নোটে আইএসপিআর জানায়, ‘বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আদালতের রায় বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছেন।

তিনি তাঁর সাথে নিত্যব্যবহার্য অধিকাংশ দ্রব্য নিয়ে গেছেন। বাকি জিনিসপত্র কর্তৃপক্ষ তাঁর ইচ্ছানুযায়ী যথাসময়ে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করবে’ রাতের ১২ টার(১৩ই নভেম্বর) দিকে আইএসপিআর বিভিন্ন পত্রিকায় টেলিফোনে জানায় যে খুব দ্রুত একটি প্রেসনোট আসছে। (সূত্রঃ আমার দেশ)। যদিও তা আসেনি, বরং পরদিন দুপুরে জাহাঙ্গির গেটের কাছে ক্যপ্টেন্স ওয়ার্ল্ড রেস্টুরেন্টে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। এখানে খালেদা জিয়ার গতকালের বক্তব্য কে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করা হয়।

এবং তারা দ্রুত সাংবাদিকদের নিয়ে যান ৬, মইনুল রোডের বাসায়। যদিও আগের দিন একই ব্যক্তিকে যখন সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার বাসায় নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন তখন তিনি তা প্রত্যাখান করে বলেছিলেন,ক্যান্টনমেন্ট সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে তারাই প্রবেশ করতে পারবেন যাদের প্রবেশের অনুমতি আছে। যদিও আজ তার কাছ থেকে অমন কোন বানী শোনা যায়নি। বরং বীরত্বের সাথে তারা নিয়ে গেছেন সেই আলোচিত বাড়িটিতে।

সাংবাদিকদের বাড়িতে প্রবেশ করানোর আগে আইএসপিআরের উপ পরিচালক ওবায়েদ সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, ‘এটা সাবেক সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপতি, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রীর সাবেক বাস ভবন। তাই বাড়িতে প্রবেশের পর এমন কিছু করা যাবেনা যাতে তাদের অবমাননা হয়। (সূত্রঃbanglanews24.com) প্রশ্ন হলো যদি সবকিছু ঠিক ই থাকতো তবে এত বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের অর্থ কি? যদি আইএসপিআর সঠিক ই হত তবে ঘটনার দিনই কেন সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হলো না? নাকি একদিন সময় বেশী লাগার কারণ অন্য কিছু? রাতে প্রেস নোট দেওয়ার কথা বলে ১২ ঘন্টা সময় নিয়ে তারা আসলে কি করেছেন? খালেদা জিয়ার বাড়িটির গোছগাছ এবং অন্য অনেক নতুন “কিন্তু” সংযোজনের জন্য কিন্তু এটা যথেষ্ট সময়। আর খালেদা জিয়ার বক্তব্য যদি ভুল হয় তবে সন্ধ্যার প্রেস নোটেই তার প্রতিবাদ কেন করা হলোনা? আমি যতদূর জানি, এই অতি গুরুত্বপূর্ন সংস্থাটির পরিচালক হন লেঃকর্নেল পদমর্যাদার একজন সামরিক ব্যক্তি। তবে বর্তমান পরিচালক শাহিনুল ইসলাম যতদূর সম্ভব অসামরিক ব্যক্তি এবং বোঝাই গেছে যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য তার যোগ্যতা যথেষ্ট নয়।

আমার প্রশ্ন, এমন লেজে গোবরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে যে এত গুলো বিভ্রান্তিকর তথ্য জানানো হলো সেই ভ্রান্তি কে দূর করবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.