জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০০৭ সালের প্রথমে । কিন্তু সেই নির্বাচন হচ্ছে ২০০৮ সালের শেষে। মাঝখানে ২ বছর চলে গেছে। এই ২ বছরে নেতৃত্বের পরিবর্তন দেখার জন্য এক সময় আমরা সবাই উন্মুখ হয়েছিলাম। সবাই বিরক্ত ছিল দুই নেত্রীর উপর।
কিন্তু মাত্র ২ বছর পর আমরা তাদের সাদরে বরণ করে নিচ্ছি। কেন ?
কারণ আমাদের নেতৃত্বের সংকট রয়ে গেছে। যাদের নেতা হওয়ার কথা ছিল, তারা নেতৃত্বে নেই। আর নেতৃত্বে আছেন যারা, তারা কোনদিনও ভাবেনটি তারা এই জাতির নেতৃত্ব দিবেন। কিন্তু তারা আমাদের নেতা, এটাই এখন চরম সত্য।
একজন যোগ্য নেতা তার চারপাশে নেতা তৈরি করেন। ভবিষ্যতে যারা জাতিকে নেতৃত্ব দিবেন, তাদের গড়ে তোলার দায়িত্ব একজন নেতার। কিন্তু একজন নেতা যখন ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চান তখন তার চারপাশে কোন নেতা জন্মাতে দেন না। বরং যারা নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান, তাদের দলে কোণঠাসা করেন, ছলে বলে কৌশলে দল থেকে বের করে দেন। ফলে এক সময় তার চারপাশে যারা থাকেন, তারা নেতৃত্ব গ্রহণ করার যোগ্যতা রাখেন না।
তারা তার চামচা হয়ে ওঠেন। কেননা চামচা হওয়া ছাড়া দলের নেতার সাথে চলা সম্ভব হয় না। দলের নেতার চারপাশ জুড়ে থাকেন কেবল চামচারা। তারা নেতার কথার বাইরে যান না। তাদের নেতা হওয়ার যোগ্যতা নেই, যোগ্যতা সম্পর্কে তাদের কোন আগ্রহও নেই।
কারণ তারা দেখেছেন যারা নেতৃত্ব দেওযার যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাদের করুণ পরিণতি। বলা যায়, দলের মধ্যে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কুফল হচ্ছে নেতৃত্বশূন্যতা।
আজ সারা দেশে বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দল যাদের মনোনয়ন দিয়েছে তারা সেই পুরোনো মুখ। যারা দুর্নীতি ও অন্যান্য অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তাদের বাইরে নেতৃত্ব দেয়ার মতো লোক সৃষ্টি হয়নি দলগুলোতে। এই কথা প্রযোজ্য দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত।
আর এই নেতৃত্ব শূন্যতার খেসারত দিচ্ছি আমরা সবাই। দেশ যেই গতিতে সামনে এগুনোর কথা ছিল, সেই পরিমাণ এগুচ্ছে না। আজ দুর্নীতি, অনিয়ম, নাগরিক সমস্যা, দারিদ্র, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, বেকারত্ব আমাদের চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে। এই সব সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন সম্ভাবনাই আর আছে কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন। জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার নেতা আর পাওয়া গেল না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।