রমনীর যাতনা করিতে যতন
রমনীয় পংতি নাহি কমনীয় মন!
একেতো জন্মিল নারী পুরুষ উত্তম
কেমনে শুনিল বাঁশী অরুপ রতন।
মানুষের নাম ধরি নর প্রভূ ধায়
যে মতে যেথায় যাই শুনি শুধু তাই!
নারীর কর্তব্য তায় লিংগ উপাসন
বীর্জ স্খলনে প্রভূ হয় সুখী জন।
কে কবে শুনেছে ভবে মানুষ রতন
লালন-হাসন গাইছে নারীর কীর্তণ!
ঈশ্বর করিতে সেবা স্বামী-পতি ধন
বারবনিতার বেশে রমনী সৃজন।
অবতার কয় কথা স্বর্গীয় কেতাবে
যত ধর্ম বিশ্বে আছে পয়গাম্বর রূপে!
তাহাতে মার্জিত বাঁধা সোনার শিকল
শাঁখা হাতে মাতা কয় ধন্য জীবন।
খেলিতে যাইওনা কন্যা বাটির বাহির
বালক শিখিছে বিদ্যা ধারালো অসির।
করুনার ভিক্ষা লয়ে শোন কন্যা ধন
পুরুষের অংক তলে সঁপিও জনম।
এমতে বধিতে গিয়া অমৃত বচন
তসলিমা পাইল বাঁধা ধর্মের কারন।
শক্তি দিয়া বলদেরা টানিত লাঙ্গল
শুনিয়া ভাবিল ক্ষন তসলিমা কথন।
নতুন ভাবনা শুনে বক্ষ দুরু দুরু
কহিল তসলিমা ভবে নষ্টের গুরু।
অতীব কঠোর সূত্রে ধর্ম পূন্য ধরি
দাঁড়াল মূর্খের দল পথ বন্ধ করি।
লজ্জা কিতাবে নাই নতুন বচন
ধর্ম কিবা শক্তি করে অসুরাচরণ।
এমতে হিন্দুরে মোল্লা কয় মালাউন
বঙ্গেতে বসতি নাইরে সনাতন হিন্দুর!
লুটিয়া নারীর লজ্জা রাজাকারে কয়
তসলিমা কথন কভু ধর্মমতে নয়!
নতুন ফতুয়া দিয়া ধর্ম অন্ধ জনে
তসলিমার মাথাটারে টাকা দিয়া কেনে!
দুষ্টের রক্ষক রাণী রাজ্য-রাক্ষসিনী
নাগরীক রক্ষায় মানে রাজাকার বিধি!
দুটি খূনী করে পন তসলিমা বধিতে
বাঙ্গালি মানিল ক্ষতি জল্লাদ রক্ষিতে!
তসলিমারে নির্বাসিয়া শান্তি আনে দেশে
অসুর রনেতে জয়ী বুদ্ধিবৃত্তি খুনে।
দেখিত পাইল কেহ কী ক্ষতি সাধিল?
মুক্ত চিন্তার সীমা রাজাকারে দিল!
সে পথে দুষ্টের অসি খাপ ছাড়া হল
মুক্ত চিন্তার কন্ঠ “আজাদ” বধিল!
প্রহসন কীর্তি যত দেখিয়া শুনিয়া
বাঙ্গালী অন্তঃপুরে রহিল নিদ্রিয়া!
কবিতার পান্ডুলিপি যত যেনতেন
তাহার উপরে চিন্তা প্রকাশের সম।
স্বাধীন দেশেতে জন্ম মুক্ত চিন্তার
হোক বাঁধা বাক্য গাঁথায় তসলিমা একার
পাঠক বাছিবে পুঁথি পাঠের বিচার
রাজ্যপাল-পুরোহিত তাঁরা কোন ছাড়?
দিকে দিকে পূনঃ পূনঃ উঠিছে ধিক্কার
তসলিমা লিখিছে কাব্য পাঠের অপার!
কাব্য নাট্য বিচারের উর্ধ্বে যে কথা
মত প্রকাশের পথে বাঁধা নাই হেথা।
একে একে ভিন্ন মতে কইবে যে কথা
তাঁহার নির্বাসন দন্ড শুধু তাঁর একা?
রক্ষিতে স্বাধীন চিন্তা যত ভিন্ন মত
ঘরে ঘরে জ্বালি এসো মঙ্গল প্রদীপ।
তসলিমার জন্য নয় আমাদের গীত
মন খুলে কথা কব ভয়ের অতীত।
তাহার তরেতে মিলি যত মুক্ত কন্ঠ
তুলে নাও তসলিমার নির্বাসন দন্ড।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।