জীবন্ত মানব সত্তার অস্তিত্বই নিঃসন্দেহে মানবের সকল ইতিহাসের প্রথম আরম্ভ...
[সুত্র বুঝার জন্য এই লিঙ্কে যান] Click This Link
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাগৈতিহাসিক গল্পে ভিখুর স্বপ্ন ছিল তার যদি অনেক টাকা থাকতো………
টাকার স্বপ্ন দেখা দোষের নয়- পুঁজিতান্ত্রিক দুনিয়ায় মানুষের স্বপ্ন পুরনের অন্যতম বাহনই হল টাকা-যেখানে টাকা হলো প্রায়ই দ্বিতীয় গড। তো মানুষ আরও টাকা উপার্জন করে তার সাফল্যকে অর্থমুল্যে মাপতেই পারে- কিন্ত যে প্রশ্নটা এখানে উল্লেখযোগ্য তা হলো টাকাটা মানুষ কিভাবে খরচ করতে চায়।
ভিখুর সমস্যাটা ছিল ওখানেই- ভিখুর স্বপ্ন ছিল দুনিয়ার তাবত মেয়েদের মুঠোর ভিতর নিয়ে আসা, যাতে সে তাদের ভোগ করতে পারে। আর ভিখুর টাকার প্রয়োজন একারনেই। না প্রেম, না ভালবাসা- এমন কি মেয়েদের জানার চেষ্টা করাও নয়- স্রেফ জান্তব শারিরীক ভোগ-
মানিক আমাদের জানাচ্ছেন সভ্য সমাজের লিখিত ইতিহাসে ভিখুর এই আচরন ধারন করা যায় না- ফলে নারীর প্রতি ভিখুর এই মনোভাব প্রাক ইতিহাসের যুগের-প্রাগৈতিহাসিক।
ব্লগার ফারিহান মাহমুদ আমাদের নতুন এক ভিখুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন- তফাৎ এই ফারিহানের ভিখু ইতিমধ্যেই বিস্তর অর্থের মালিক। ফলে ভিখুর মতো তারও এখন নারীর দরকার!!! কেন?
ফারিহান আমাদের জানাচ্ছেন তার এই নব্য ভিখুর একজন নারী দরকার স্রেফ সঙ্গম করার জন্য- কারন তার টাকা আছে অজস্র। তার একজন নারী দরকার তাকে ভালবাসার কথা শোনানোর জন্য নয়- তার প্রশংসা করার জন্য নয়- তাকে কাব্য সংগীত শুনিয়ে তার মন জয় করার জন্য নয় স্রেফ শারিরীক সঙ্গম- কোন ধরনের মানসিক সম্পর্কে ব্যাতিরেকে……।
ফারিহানের ভিখু যেন তেন নারীতে আবার সন্তষ্ট নয়-তার দরকার সুন্দরী নারীর- তো এমন নারী কোথায় পাওয়া যাবে? সম্ভবতঃ দুনিয়ার সর্বত্র- সারা দুনিয়া জুড়ে মেয়েরা প্রস্তুত হয়ে আছে পুরুষের হাতে নিজের শরীরটা তুলে দেবার জন্য টাকার বিনিময়ে- মেয়েদের সাথে সঙ্গম করাটাই মুখ্য আর টাকা থাকলেই সেটা করা যায়……।
ফারিহান এগুলো আমাদের শেখাচ্ছেন তার আত্মবিশ্বাসের চুড়ায় উঠে-যে তিনি এমন কিছুই নাকি করছেন না যা নিয়ে কেউ অবজেকশন তুলতে পারে- কোন কথার মধ্যে দৃঢ়তা আনলেই -তা বুঝি যে কোন কাজের নৈতিকতার ভিত্তি গড়ে দেয়-ফারহান এমনটাই ভাবতে চান?
অনুমান করতে পারি ফারিহান এখানে কোন যুক্তি টানবেন- হ্যাঁ আমরা জানি এ সমাজে কাঞ্চন মুল্যে নারী শরীর বিক্রি হয়--বস্তত পুঁজিতান্ত্রিক দুনিয়ায় সব কিছুই অর্থমুল্যে বিক্রয়যোগ্য-পুরুষ নিজেও তা থেকে মুক্ত নয়।
কিন্ত ভয় পাওয়ার মতো ঘটনা সেটাই--যখন নারীর এই পন্য হয়ে যাওয়া কারও মনে বিন্দু মাত্র সংবেদনশীলতা তৈরি করে না।
সংবেদনশীলতা ছাড়াই আজকাল কাব্যচর্চা করা যায় দেখতেই পাচ্ছি……!!!
ভাবতে ইচ্ছা করে ফারিহান তো এলিয়েন নন-দেশ কাল পাত্রে তার কোন না কোন নারীর সঙ্গে কনা মাত্র সম্পর্ক হলেও তো আছে!!! হতে পারে তা রক্তের-হতে পারে তা হৃদয়ের। ১বিলিয়ন টাকা খরচ করার মতো সামর্থ্য অর্জন করার পর- সে সব নারীদের কি দৃষ্টিতে ফারিহান দেখতে চান????
ভার্জিনিটি নিয়ে আর কোন প্রশঙ্গের অবতারনা করতে চাই না- ভিক্টোরিয়ান জমানার দুর্গন্ধযুক্ত এই মেল শভিনিষ্টিক দৃষ্টিভঙ্গি যে কোন সভ্য সমাজের ইতিহাসেই মৃত ফসিলে পরিনত হয়েছে- বাংলাদেশের মত অবিকশিত সমাজে এখনও তা তরুন চিন্তাবিদদের মগজ দখল করে রাখে-এটাই আফসোসের।
চিন্তার মধ্যযুগকে আমরা কবে পিছনে ফেলতে পারবো???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।