. এক লোকের তাল খাওয়ার শখ হয়েছিল । তিনি একটি তাল গাছের দিকে তাকিয়ে বললেন, বাব্বা গাছে কত তাল ! সাথে সাথে গাছ থেকে তাল পড়তে শুরু হল । তিনি তাল খেয়ে বাড়ি গেলেন । ঐ লোক নাকি আমাদের একটা তাল গাছের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, গাছটায় তো অনেক তাল !ঐ গাছের সবগুলো তাল সেই বছর ঝরে গেছিল । আর কোনদিন সেই গাছে কোন তাল ধরেনি ।
তারে যদি ফারাক্কার সামনে নিয়া যাওয়া যাইত । আর সে যদি বলত ওরে বাবা কত বড় বাঁধ !তাইলে আমি নিশ্চিত ফারাক্কার বুকে কয়েক লক্ষ ফাঁটল তৈরী হইত । ফারাক্কা ধ্বংস হইয়া যাইত ।
জ্বীন প্রজাতি মনুষ্য জাতির তুলনায় অনেক বলবান । তাদের অসাধ্য খুব কম বিষয়ই আছে ।
আমি একবার পরিকল্পনা করছিলাম, জ্বীন দিয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করানোর । কিন্তু পরীক্ষার প্রস্তুতি ভাল হওয়ায় ঐ কাজ করিনাই । আমাদের দেশে অনেক মোল্লা আছে যারা জ্বীন দিয়ে মানুষের চিকিৎসা করায় । সেই সব মোল্লা যদি একজোট হইয়া জ্বীন গুলারে কয় তোরা হাসিনারে মাইরা ফালা কিংবা খালেদারে মাইরা আমাগো হাতে রাজত্ব দে । অথবা ভারতের মাথা থেকে টিপাইমুখের ভুত দূর কইরা দে- আমি নিশ্চিত মোল্লারা একশ ভাগ সফল হইত ।
অনেক তাবিজ, যাদুটোনা,বান মারা,বাটি চালান সহ নানা ধরনের প্রাগৈতিহাসিক বিদ্যায় আমাদের দেশ বেশ সমৃদ্ধ । এই বিদ্যার সিংহভাগ এখনো মোল্লাদের দখলে । মোল্লাগোরে নাকি হাসিনার সরকার শেষ কইরা ফালানোর তালে আছে ! মোল্লারা এত অস্ত্র নিয়া এখনো কেন বইসা আছে সেইটাই আমার মাথায় ধরেনা । আমার হাতে ঐধরনের বিদ্যা থাকলে আমি বান মাইরা ভারতের সবগুলা বাঁধ ভাইঙ্গা দিতাম । বুশের আমলে বুশেরে দিয়া ইসলামের খেদমত করাইতাম ।
আর হাসিনারে আমেরিকায় পাডাইয়া আরামে দেশ চালাইতাম ।
সেইদিন লজ্জাতুননেসা নামের আদি ও আসল একখান তাবিজের বই দেইখা আমার মনের মইধ্যে এই ভুতটা লাফাইয়া উঠছিল । আমি ঠিক করছিলাম তাবিজ দিয়াই ভারতের দফা রফা কইরা দিমু । কিন্তু আমার কেন জানি বিশ্বাস জিনিসটা ইদানিং কইমা গেছে । তাই ঐ পথে আগাইলাম না ।
কিন্তু মোল্লা সাহেবরা কী করে ? হেরা তাবিজ-কবজ দিয়া কামডা শেষ করেনা ক্যা ? নাকি এইসব ঝুলাইয়া রাখা তাগো কাছে যুদ্ধাপরাধীগো বিচার ঝুলাইয়া রাখনের মতই একটা ফ্যাশন ? নাকি ওগো মইধ্যেও আমার মতই বিশ্বাসের কমতি আছে ?
মোল্লারা কাম করুক আর না করুক । আসুন সবাই মিল্লা প্রাগৈতিহাসিক যাদুবিদ্যা শিখি । এবং সেই বিদ্যা দিয়া দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করি ।
(পুনশ্চ: ওই নিকে ঢুকতে না পারায় পুরানো ব্লগ গুলা স্থানান্তরের প্রসেস) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।