রানা প্লাজা ধসে নিহত অনেক পরিবারের ভাগ্যে এখনো মেলেনি অর্থসহায়তা, আহতরাও পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে যেমন সমন্বয় নেই, সহায়তা দিতে সমন্বিত কমিশন গঠনের প্রস্তাবটিও আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কার্যত কেউ কথা রাখেনি।
উল্লেখ্য, ২৪ এপ্রিল সাভারে বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়ে। দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম এ দুর্ঘটনায় সরকারি হিসাবে মারা যায় ১ হাজার ১৩২ জন শ্রমিক-কর্মচারী এবং নিখোঁজ হয় ৩৭৯ জন। তবে সেনাবাহিনীর হিসাবে নিখোঁজ সংখ্যা ২৬১ জন বলা হয়েছে। ওই ঘটনায় আহত হয় আড়াই সহস াধিক খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্লা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রানা প্লাজা ধসে নিহত ৩০১ জনের লাশ শনাক্ত না হওয়ায় 'বেওয়ারিশ' হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ছাড়া লাশের দাবিদার চিহ্নিত করতে এ পর্যন্ত ৩৩১ স্বজনের ডিএনএ টেস্ট করার জন্য নমুনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, এ পর্যন্ত শ্রমিক নিখোঁজসংক্রান্ত ৩৪৫টি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ হয়েছে। রানা প্লাজা ধসে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ হতাহতের ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। দেশের সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে বিদেশের ব্র্যান্ড বিক্রেতারা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। খোলা হয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পৃথক একটি তহবিল গঠন করা হয়। ২৭ এপ্রিল গঠিত ওই তহবিলে প্রত্যেক সদস্যকে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দিতে বলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিকেএমইএ ১ কোটি টাকা অনুদান দেয়। পরে প্রতিদিন বিজিএমইএ তহবিলে মোটা অঙ্কের টাকা জমা হতে থাকে। অন্যান্য ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকেও সাভার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ তহবিল খুলে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা কার্যক্রমে নানাভাবে সহায়তা করা হয়। অভিযোগ উঠেছে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভূমিকা নিয়ে। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দূরের কথা, অনেক শ্রমিকের প্রাপ্য বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যাপারেও সংগঠনটি নানারকম টালবাহানা করছে। পোশাক শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা জানান, রানা প্লাজা ধসের চার মাস পেরিয়ে গেলেও বিজিএমইএর পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে কোনো অর্থসহায়তা দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, ব্যক্তি অকাতরে দান করেছে। কিন্তু সেখানেও পোশাক কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে কোনোরকম অর্থসহায়তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন শ্রমিক নেতারা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিজিএমইএ বলছে, এ পর্যন্ত পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন বাবদ খরচ হয়েছে ৭ কোটি, আহতদের চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে ৩ কোটি এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহিবলে জমা দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি টাকা।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রিয়াজ বিন মাহামুদ বলেন, এককালীন ক্ষতিপূরণের বিষয়ে 'বিজিএমইএ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে একীভূত হয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এরই মধ্যে অনেককে এককালীন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। অনেক শ্রমিককে পুনর্বাসনও করা হয়েছে।' রিয়াজ বিন মাহামুদ বলেন, 'আমরা এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করেছি। কারণ পাঁচটি পোশাক কারখানার আইডি কার্ড সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন দোকানে তৈরি হচ্ছে। রাতারাতি আইডি কার্ড বানিয়ে অনেকেই এখন ক্ষতিপূরণ দাবিতে লাইনে দাঁড়াচ্ছে।' চিকিৎসাধীন শ্রমিকদের ব্যাপারে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, এখনো ১১০ জন শ্রমিক চিকিৎসাধীন। এদের বেশির ভাগই রয়েছে সাভার সিআরপিতে। সেখানে যথারীতি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি।
'মরে যাওয়াই ভালো ছিল' : গত দুই দিন রানা প্লাজা এলাকায় সরেজমিন ঘুরে এবং শ্রমিকদের বাড়িঘরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রানা প্লাজা ধসের শিকার কয়েক হাজার পরিবারের আহাজারি আর বিলাপ আজো কমেনি। নিহত ও গুরুতর আহত শ্রমিকদের স্বজনরা এখন টিকে থাকতেই পারছে না, তাদের বেঁচে থাকার পথও অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা আহত হয়ে বেঁচে আছে, তাদের অনেকের জীবনে নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। আহত শ্রমিকরা এখন ক্ষোভে দুঃখে বলে ওঠে 'মরে যাওয়াই ভালো ছিল'।
ভাগ্যোন্নয়নের আশায় নওগাঁ থেকে ঢাকায় এসেছিলেন রোজিনা আক্তার, তার মেয়ে বৃষ্টি আক্তারও ছিল সঙ্গে। রানা প্লাজায় ইথার টেঙ্ নামে পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেন মা-মেয়ে। রোজিনা কাজ করতেন ১৭৭৬ আর বৃষ্টি ১৭৭৫ নম্বর লাইনে। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই তাদের স্বপ্নের সমাধি রচিত হয়। দুর্ঘটনার দিন ভবন থেকে রোজিনা আক্তার বেরিয়ে আসতে পারলেও মেয়ে বৃষ্টি আর বের হতে পারেনি। রোজিনা এখনো মেয়ের শেষ ঠিকানার সন্ধানে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক হিসেবে রোজিনা আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ পাননি, নিখোঁজ মেয়ের ব্যাপারেও তার ভাগ্যে জোটেনি সহায়তা। নিউওয়েভ স্টাইল লিমিটেডে কাজ করতেন ইয়াসমিন আক্তার। ভবন ধসের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তিনি উদ্ধার হন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সোলেমান হোসেনের জীবন-স্বপ্ন সব শেষ হয়ে গেছে রানা প্লাজার ধসে। নিহত শ্রমিক হজরতের তিন সন্তান এখন বড়ই বিপাকে। হজরত কাজ করতেন নিউওয়েভ স্টাইল লিমিটেডে। তিন সন্তানের ভরণপোষণ চালাতে গিয়ে তার বড় বোন শাপলা গ্রামের বাড়ির একমাত্র সম্বল ঘরখানা বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে এ টাকা ফুরিয়ে গেলে কী করবেন জানেন না শাপলা। বিকাশের মাধ্যমে শুধু ১৬ হাজার টাকা পেয়েছেন ক্ষতিপূরণ হিসেবে। রানা প্লাজা ধসের প্রায় সাড়ে চার মাসে এখনো সন্ধান মেলেনি প্রায় পাঁচ শ শ্রমিকের। যাদের সন্ধান পাওয়া গেছে কিংবা আহত হয়ে বেঁচে আছে তারাও বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এখনো অনেক শ্রমিক ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। অথচ তাদের দেখা বা পাশে দাঁড়ানোর মতো কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক, উদ্ধারকারী, নিহত ও নিখোঁজের স্বজনরা কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেছে। তারা মাঝেমধ্যেই ছুটে আসে রানা প্লাজার সামনে আর দাঁড়িয়ে থাকে ফ্যাল ফ্যাল চোখে। অনেকেই আবার রাতে ঘুমাতে গেলেই চিৎকার দিয়ে ওঠে ভয়ে। তারা চোখের সামনে শুধুই প্রিয়জনের লাশ দেখতে পায়।
'ক্ষতিগ্রস্তরা মারা গেলে তবেই মিলবে ক্ষতিপূরণ?' রানা প্লাজা ধসে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক হতাহতের ঘটনার চার মাসের বেশি পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারে ক্ষতিপূরণের সহায়তা পেঁৗছানো যায়নি। হতাহত শ্রমিকের স্বজনরা নানা তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের পরও নিত্যনতুন জটিলতার বেড়াজালে আটকে পড়ছে। এ ছাড়া কোন ক্যাটাগরিতে কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। কী প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অর্থসহায়তা পেঁৗছানো হবে, সে ব্যাপারেও স্বচ্ছ পরিকল্পনা পর্যন্ত নেই। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সহজে পাওয়া শ্রমিক পরিবারের তালিকা তৈরি করে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংক চেক তুলে দিলেও ক্ষতিগ্রস্ত বেশির ভাগ শ্রমিককে সে তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা শ্রমিকদের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রকৃত স্বজনদের খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া চলছে ঢিমেতালে। ফলে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশাহারা স্বজনরা বিন্দুমাত্র ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকেও বঞ্চিত থাকছে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অর্থ বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কর্মকর্তারা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কাউকে বঞ্চিত রাখা হবে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খুঁজে বের করতে কিছুটা সময় লাগলেও শীঘ্রই তাদের অর্থসহায়তা দেওয়া থেকে শুরু করে পুনর্বাসন সুবিধার আওতায় আনা হবে। কিন্তু রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত সোলেমান, হজরত, আয়েশা, ইয়াসমীনসহ অনেক পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'স্বজনের বেতন ছাড়া এক মাস জীবন চালানোরও যেখানে উপায় নেই, সেখানে চার মাস পেরিয়ে গেছে। আমরা ভিক্ষায় নামলে বা মারা গেলে তবেই কি ক্ষতিপূরণ পেঁৗছাবে?'
মাথাপিছু পাওয়ার কথা ২৮ লাখ : আইএলওসহ আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মজুরি কাঠামো বিবেচনা করে পরিবারপ্রতি ক্ষতিপূরণ দাঁড়ায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবারই অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। অনুপাত অনুযায়ী সরকার শতকরা ৯, বিজিএমইএ ১৮, মালিক ২৮ এবং ব্র্যান্ড বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ৪৫ ভাগ বহন করবে। এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়াও রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়েও সহায়তা পাওয়া গেছে। কিন্তু শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিজিএমইএ বা সরকার এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। নিহত, গুরুতর আহত, আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করা ও অপেক্ষাকৃত কম আহতদের পৃথক পৃথক ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও বিজিএমইএ থেকে সুস্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।
এনাম মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশানারা চৌধুরী বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর থেকেই আহত ১ হাজার ৭৬৮ জনকে এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৭ জনের অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় তাদের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে সিআরপিতে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিক মনোয়ারাসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ভবন ধসের চার মাসের বেশি দিন পার হয়ে গেলেও সরকারিভাবে তাদের কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে এত মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়ে দুজন উদ্ধারকর্মী আহত হন। পরে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ন্যাশনাল ফরেনসিক প্রোফাইলের ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির প্রধান ডা. শরীফ আকতারুজ্জামান বলেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩০১টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
এদিকে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা ও ভবন নির্মাণে অনিয়ম থাকায় রাজউক একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানা, তার বাবা কুলু খালেক, পৌর মেয়র রেফায়েত উল্লাহ, রানার পোষা ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রাজ্জাক ও পৌরসভার দুই ইঞ্জিনিয়ার এবং চার পোশাক কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ মতিঝিল ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার বিজয় কৃষ্ণ কর জানান, মামলা দুটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি কারখানা, হাসপাতাল, এলাকাবাসী, স্থানীয় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সাক্ষীর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দু-আড়াই মাসের মধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে। এ ছাড়াও এর সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানান, এ পর্যন্ত ৩৪৫টি সাধারণ ডায়েরি সাভার মডেল থানায় নেওয়া হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে সোহেল রানাসহ পোশাক কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।