আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিকিৎসক থেকেও নেই আড়াইহাজার স্বাস্থ্যকেন

অনিয়ম আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্। রয়েছে চিকিৎসকের সংকট। যে কজন চিকিৎসক আছেন, তারা হাসপাতালে আসেন না। এ ছাড়া অন্য পদ শূন্য থাকায় ভেঙে পড়েছে এখানকার সেবা কার্যক্রম। চিকিৎসক না থাকায় চেঁচামেচি আর বচসা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি সরকারি হাসপাতাল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের পদ রয়েছে নয়টি। এর মধ্যে দুটি শূন্য। নিয়োগ পাওয়া সাতজনের অফিস করেন দুজন। আর বাকি পাঁচ চিকিৎসক সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও তাদের দেখা মেলে না। উপজেলার সাতটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্থাপনা না থাকায় সাতজন চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দে ডিউটি করেন। এর মধ্যে একজন ডেপুটেশনে ও একজন বিদেশে। বাকি পাঁচজনের মধ্যে ডা. তৈয়ব সরকারি দলের চিকিৎসক সংগঠন স্বাচিপের নাম ভাঙিয়ে সপ্তাহে এক দিন ডিউটি করেন। তিনি শুধু সোমবার আসেন হাসপাতালে। বাকি দিনগুলোয় না এসেই স্বাক্ষর করেন হাজিরা খাতায়। বাকি চার চিকিৎসক সপ্তাহে দুই দিন অফিস করেন। চিকিৎসকরা নিয়মিত হাসপাতালে না আসায় রোগীদের দুর্ভোগ পেঁৗছেছে চরমে। এ ছাড়া নোংরা পরিবেশ, বৃষ্টি এলেই মেঝে পানিতে সয়লাব হওয়া, জরুরি বিভাগে উৎকোচ নেওয়া, অ্যাম্বুলেন্সে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ হাসপাতালে বিরাজ করছে এক হ-য-র-ব-ল অবস্থা।

সূত্র জানায়, হাসপাতালের টিএইচও ডা. আ. হালিম প্রশিক্ষণের নাম করে বেশির ভাগ সময়ই বাইরে অবস্থান করেন। গতকাল বেলা ১১টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন দুজন চিকিৎসক। প্রত্যেকর সামনেই অপেক্ষা করছে ৫০-৬০ জন রোগী। অন্য চিকিৎসকদের কক্ষে বাতি আর পাখা ঘুরলেও তারা অনুপস্থিত।

এদিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শূন্য রয়েছে সিনিয়র নার্সের পদ একটি, আয়ার পদ একটি, বাবুর্চির পদ দুটি ও নাইটগার্ডের পদ দুটি। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের আবাসিক রোগীদের মধ্যে পরিবেশন করা হয় অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার। রোগী বেশি দেখিয়ে খাবারের টাকা আত্দসাতের অভিযোগও পাওয়া গেছে। হাসপাতালের টয়লেটগুলো নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন থাকায় ব্যবহারের অনুপযোগী। রয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। দালালদের উৎপাত আর ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সেবাপ্রার্থীরা।

অনিয়মের অভিযোগ স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আ. হালিম বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে। তবে নিজের অনুপস্থিতির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. দুলাল চন্দ্র চৌধুরী বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.