সুন্দর স্বপ্ন ।
তৃতীয় বিশ্বের গরীবতম দেশ বাংলাদেশ । চারিদিকে ছায়ার মত ছড়ানো ছিটানো মৃত্যু ফাঁদ । নতুন নতুন পন্থা সংযোজিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত । প্রতিকারের চেস্টা নেই ।
আর থাকলেও তা যৎসামান্য । এতে করে কোন কাজই হচ্ছে না বরং ‘মৌঁচাকে ঢিল মারার মত কান্ড’ ঘটছে । মাঝে মধ্যেই ‘ভেজাল বিরোধী অভিযানের’ নামে হইচই হচ্ছে । ‘পাবলিকের’ ধারনা এতেও নাকি ভেজাল রয়েছে । আম কলাতে ‘কার্বাইড’ বা ‘এ্যসিটিলিন’, আপেল আঙ্গুর তথা ফলে কিংবা মাছ মাংস ও দুধে ‘ফরমালিন’ হরহামেশাই মেশানো হচ্ছে জনসম্নুখে ।
অভিযানকারীদের চোখে নাকি এসব পড়ছে না । এসব বিষ মেশানো অখাদ্য মাছি, পিঁপড়া তথা পোকামাকড়ও খাচ্ছে না । আর আমরা (বাঙ্গালী/বাংলাদেশী) সর্বভূক প্রাণী মানুষ এসব খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত । দেশীয় খাদ্যের এ ভেজাল পুরাতন খবর হলেও আমদানীকৃত পণ্য যথা - শিশু খাদ্য, গুড়ো দুধ, ক্যাডবেরী-ক্যান্ডিতে ‘ম্যালামাইন’ একটু নতুন । 'মরার উপর খাড়ার ঘা’র মত ।
আমাদের এই গরীব দেশে আমদানী হয় না এমন কোন জিনিষ নেই বললেই চলে । আমদানী নীতিতে আমরা বড় বেশী উদার । ‘আলপিন থেকে এরোপ্লেন’ সব কিছুই আমরা আমদানী করে থাকি । দেশীয় কোনকিছু উৎপাদনে কিংবা শিল্প বিকাশে আমাদের সদাই অনীহা । কারণ এতে ‘টু-পাইস’ কামানো অত বেশী সহজ না ।
কিন্তু আমদানীতে ‘টু-পাইস’ কামানো অতি সহজ । তাইতো শত সহস্র যুক্তি আমদানীর পক্ষে যেমনঃ উৎপাদনে খরচ বেশী, উৎপাদিত পণ্য নিম্নমানের, কাঁচামাল, দক্ষ জনশক্তি তথা কলকারখানার অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এ সব যুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুনাফা লোভী অসৎ চক্র নিম্নমানের মেয়াদ উত্তীর্ণ বিষমেশানো শিশু খাদ্য তথা অনান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানী করছে অবাধে । এদের মনিটরিং এর নেই কোন যথাযথ ব্যবস্থা । নেই কোন সদিচ্ছাও ।
মনিটরিং এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তথা উপযুক্ত যথাযথ যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতার মত খোড়া যুক্তি দেখিয়ে যুগ যুগ পার করে দিচ্ছে সংশ্লিস্ট মহ্ল । হায় কপাল !
বিশ্বের উন্নত তথা উন্নয়নশীল সব দেশেই খাদ্যে ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন জেল জরিমানা সহ মৃত্যু দন্ড । আর আমাদের দেশে শাস্তির মাত্রাটা ভেজালে উৎসাহিত করার মত --কয়েক মাসের জেল জরিমানা সহ গুটি কয়েক টাকা মাত্র । আমরা আর কতকাল অপেক্ষা করব এই খুনীদের (খাদ্য ভেজালকারী) দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দন্ডর জন্য ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।