সাভারে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্ধারকাজ। এ কাজে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ভারী যন্ত্রপাতি। ধ্বংসস্তূপের আশেপাশে এখনও স্বজনেরা খুঁজে ফিরছেন প্রিয়জনকে। জীবিত অথবা মৃত প্রিয়মুখটি একবার দেখতে চান তাঁরা।
রানা প্লাজার সপ্তম তলার পোশাক কারখানার অপারেটর ছিলেন আল আমিন।
তাঁর স্ত্রী রত্মা আক্তার। ভবন ধসের পর থেকে গত ছয়দিন ধরে তিনি খুঁজছেন স্বামীকে। হাসপাতাল, মর্গ কোথাও পাননি। তাঁর আশা, ধ্বংসস্তূপের ভেতরে হয়তো তাঁর স্বামী জীবিত আছেন। ভারী যন্ত্র দিয়ে উদ্ধার না করে আগের মতোই প্রচলিত পদ্ধতিতে উদ্ধারকাজ চালালে হয়তো তিনি স্বামীকে ফিরে পেতেন।
হয়তো আরও প্রাণের সন্ধান মিলতো।
শাহিদা বেগমও খুঁজছেন হতভাগ্যা মেয়ে শান্তা আক্তারকে। তিনি বলেন, বলেন, সব ভেঙেচুরে চুরমার হচ্ছে। ভেতরে কোনো জীবিত লোক থাকলে তাঁরা মারা যেতে পারে। হয়তো তাঁর মেয়ে এখনও ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আছেন।
বাঁচার আশায় দিন গুনছে।
ভবন ধসের ঘটনায় নিখোঁজ ইসরাইল হোসেনের স্ত্রী চায়না বেগম, নিখোঁজ মাসুদের ছোট বোন সাবিনা, নিখোঁজ মুক্তার মা মিনি বেগম, নিখোঁজ রেহানা আক্তারের বড় বোন আয়েশা বেগম ও তাঁদের মতো আরও অনেকেই খুঁজছেন স্বজনদের। ভারীযন্ত্রের চেয়ে ছোট ছোট যন্ত্রের মাধ্যমে উদ্ধারকাজের ওপরই তাঁদের বেশি ভরসা ছিল। এখনও ভাবছেন ওভাবে উদ্ধারকাজ চালালে হয়তো স্বজনদের ফিরে পেতেন।
উদ্ধারকাজে ব্যবহূত ভারী যন্ত্রের শব্দে বুক কেঁপে ওঠে প্রিয়জনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনদের।
তাদের আশঙ্কা, ধ্বংসস্তূপের ভেতরে যদি এখনও কোনো প্রাণ থাকে! তাঁরা চান ভারী যন্ত্র ব্যবহার না করে আগের মতোই উদ্ধারকাজ চলানো হোক। তাঁরা ভাবেন, তাহলে হয়তো আরও কিছু প্রাণের খোঁজ মিলতো।
তবে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, এখন আর কোনো জীবিত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এ কারণে ভারী যন্ত্রের সাহায্যে অভিযান চলছে। তবে এর পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতিতেও উদ্ধারকাজ চলবে।
তবে এতদিন যেসব স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকর্মীরা কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে মাজেদুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাকরা বলেন, ভারী যন্ত্র ব্যবহারে উদ্ধারকাজে আরও ক্ষতি হবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে তাঁরাই আরও কিছুদিন উদ্ধারকাজ চালাতে পারতেন বলে জানান। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।