আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
কই, কোন ক্ষেত্রে থেকে দাসত্ব জাল আজও ছিড়তে পারেনি বাঙ্গালী। গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ক্ষুদে বালক/বালিকা বেশে গ্রিলের শেকল ধরে থাকা দাসত্ব কিংবা শিক্ষকের রাজনৈতিক আর্দশের দাসত্ব। আমি বুঝি না প্রভুত্ব এত বেশি কেন প্রভাবিত করে বাঙ্গালীকে। মিছে মায়ার জাল কবে ছিড়বে, কেন এ দাসত্ব, দলীয় তন্ত্রে এ যে মোহনীয় মায়া অন্যায় বিরুদ্ধে কেন যায় না। পত্রিকা থেকে টিভি, পুস্তক থেকে কবিতা, পোস্টার থেকে সামান্য কোন বক্তৃতা, রিক্সাচালক থেকে ভার্সিটির শিক্ষক সকলেই জানে এ শ্রেনী চোর, বাটপার, রাক্ষস তারপরও ম্যাডাম ম্যাডাম, স্যার স্যার, কেন, বুঝি না।
দাসত্ব আজও ছাড়তে পারেনি এ জাতিকে। মেধায়-গতরে, ভদ্দর লোক- থেকে মেতরে, নিজের খায় নিজের পরে তারপরও দাসত্ব, কোথাও নোংরা সমর্থন যেন পোষা কুকুরের একঘুয়েমি।
দল মানুষ মারলেও ভুয়া যুক্তির পশরা। মিছিল করে চোদ্দ ঘন্টা জ্যাম বাধালেও দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় কারন খুজে বের করা আর নির্বাচন হারলে প্রশাসনের নানা চুরি গাথা। আর ১ম শ্রেনীর গেজেটেড দাসত্ব যারা আজীবন কাজের ছেলে/মেয়ে হয়েই দেশের কোন উপকার না করুক কোন ক্ষতিও করেনা কিন্তু মেধার দাসত্ব দেশের বারোটা বাজিয়ে দেশকে অনেক অনেক পেছনে ঠেলে দিচ্ছে।
কবে কবে এ জাতি এ দাসত্বের জাল
ছিড়ে মুক্ত চিন্তা নিয়ে এগিয়ে নেবে দেশকে।
আমি আগামীর শিক্ষকদের অনুরোধ করি, অনুরোধ মেধার দাসত্ব ছাড়ুন, মহাশয়, একটু মুক্ত চিন্তার কিছু প্রানীকে আপনার বিষেদাগার পান করাবেন না। আর কত, কত প্রানের বলি নিয়ে আপনাদের সিংহাসন সাজাবেন, কত মায়ের হাহাকারে আপনাদের বুক শান্তি পাবে, কত টাকায় আপনাদের ক্ষুদা মিটবে, বলতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।