আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইবির ছাত্রসংঘর্ষ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গত শনিবার তিন সন্ত্রাসী গ্রুপের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। সকালে বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বহিরাগত ক্যাডারদের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয় এবং তা এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। ছাত্রলীগের বহিরাগত ক্যাডাররা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ক্যাডারদের এ ঘটনা সম্পর্কে জানালে তারা ছাত্রদল কর্মীদের ওপর চড়াও হয় এবং তা দুই পক্ষের সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয়পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি, রামদা, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। দুই পক্ষের গুলি, বোমা, ককটেলের আওয়াজে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। এর সঙ্গে যোগ হয় পুলিশের টিয়ার গ্যাস। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দেয় ছাত্রশিবিরের অস্ত্রবাজরা। যৌথ হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এবং তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজদের আখড়া হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। জনগণের ট্যাঙ্রে টাকায় পরিচালিত প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন তখন অস্ত্রের মহড়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ছাত্র সংগঠনের ক্যাডার নামধারী দুর্বৃত্তদের উৎপাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন জনপদগুলোতেও বিরাজ করে উৎকণ্ঠা। ছাত্রসংগঠনগুলোর দুর্বৃত্তপনার পেছনে শিক্ষকদের একাংশের ইন্ধনের অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলোর ক্যাডার নামধারী অস্ত্রবাজদের সংঘর্ষ থামাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রায়ই ব্যস্ত থাকতে হয়। আমরা এ কলামে বারবার বলার চেষ্টা করেছি জনগণের ট্যাঙ্রে টাকায় পরিচালিত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার বদলে কাটা রাইফেল, রিভলবার, রামদা, চাপাতির চর্চা হবে তা কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না। যেসব ছাত্র নামধারী এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে অস্ত্রবাজি, বোমাবাজি ও চাঁদাবাজির হোতাদের ছাত্রত্ব কেড়ে নেওয়ার মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও ভাবতে হবে। শিক্ষাঙ্গন শিক্ষার্থীদের জন্য। সেখানে অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রবেশাধিকার থাকা উচিত নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের স্বার্থে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.