মোহন রায়হানের কবিতা :
দ্রোহের উন্মীলনে স্বপ্নের কারুচিহ্ন
ফকির ইলিয়াস
----------------------------------------------------
বাংলা কবিতাকে গণমানুষের অধিকার অর্জনের মুখ্য পঙ্ক্তিমালা করে তুলেছেন যে কজন বিশিষ্ট কবি, মোহন রায়হান তাদের অন্যতম। তিনি কবিতাকে সরাসরি করে তুলেছেন মিছিলের ভাষা, মানুষের স্বপ্নের শব্দ দ্যোতনা। সত্তর দশকের এই প্রতিনিধিত্বশীল কবির বড়ো পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। একটি জাতির মুক্তি সংগ্রামে অংশ নেওয়ার বিরল সৌভাগ্য খুব কম কবিরই ঘটে। মোহন রায়হান সেই সৌভাগ্যের শৌর্যাধিকারী।
মোহন রায়হান কবিতা লিখে চলেছেন দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। তার আরো একটি বড় পরিচয় আছে। তিনি একজন প্রগতিশীল রাজনীতিক, সংগঠক। কিন্তু একজন রাজনীতিক ব্যক্তিত্বসত্তা কি তার কবিসত্তাকে পিছু হটিয়ে দেয়? হয়তো দেয় অথবা দেয় না। কবি মোহন রায়হানের কবিতাগুলো বাঙালি জাতিসত্তার স্বপ্ন ও বিরহের প্রতিকৃতি হয়েই জেগে আছে।
বেঁচে আছে প্রেম ও পরিণয়ের ধ্রুব হয়ে। যে প্রেম বার বার নিবন্ধন করেছে এই বাংলার সবুজ প্রান্তর, এই পদ্মা-মেঘনার সৃষ্টির ঢেউ কিংবা এই মুষ্টিবদ্ধ তারুণ্যের একক শপথ, অঙ্গীকার।
বাংলা কবিতাকে গণমানুষের অধিকার অর্জনের মুখ্য পঙ্ক্তিমালা করে তুলেছেন যে কজন বিশিষ্ট কবি, মোহন রায়হান তাদের অন্যতম। তিনি কবিতাকে সরাসরি করে তুলেছেন মিছিলের ভাষা, মানুষের স্বপ্নের শব্দ দ্যোতনা। সত্তর দশকের এই প্রতিনিধিত্বশীল কবির বড়ো পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা।
একটি জাতির মুক্তি সংগ্রামে অংশ নেওয়ার বিরল সৌভাগ্য খুব কম কবিরই ঘটে। মোহন রায়হান সেই সৌভাগ্যের শৌর্যাধিকারী।
মোহন রায়হান কবিতা লিখে চলেছেন দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। তার আরো একটি বড় পরিচয় আছে। তিনি একজন প্রগতিশীল রাজনীতিক, সংগঠক।
কিন্তু একজন রাজনীতিক ব্যক্তিত্বসত্তা কি তার কবিসত্তাকে পিছু হটিয়ে দেয়? হয়তো দেয় অথবা দেয় না। কবি মোহন রায়হানের কবিতাগুলো বাঙালি জাতিসত্তার স্বপ্ন ও বিরহের প্রতিকৃতি হয়েই জেগে আছে। বেঁচে আছে প্রেম ও পরিণয়ের ধ্রুব হয়ে। যে প্রেম বার বার নিবন্ধন করেছে এই বাংলার সবুজ প্রান্তর, এই পদ্মা-মেঘনার সৃষ্টির ঢেউ কিংবা এই মুষ্টিবদ্ধ তারুণ্যের একক শপথ, অঙ্গীকার। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি নির্মলেন্দু গুণ তার একটি কবিতায় গণআন্দোলনে কবিদের অগ্রযাত্রাকে নিবন্ধন করেছেন অত্যন্ত উজ্জ্বল আলোতে।
সে কবিতায় কারাবন্দি কবি মোহন রায়হানের কথাটি উঠে এসেছে সাহসিকতার সঙ্গে।
‘আমরা দুর্বৃত্তের উদ্ধৃত্ত সঞ্চয় নিয়ে
প্রশ্ন তুলতে এসেছি জনতার প্রকাশ্য আদালতে।
আমরা শাহী হারেমের বিশ্বস্থ কাগজগুলোতে
শামসুর রাহমানের নাম উৎকীর্ণ করার জন্য
বা ‘মোহন’ মুক্তির জন্য দাবি জানাতে আসিনি।
আমরা রাজপথকে বিপ্লবীদের মিলনতীর্থে
পরিণত করতে চাই। যারা দেশমাতৃকার
শৃঙ্খল ছিঁড়বেন আমরা কবিতা লিখতে চাই
তাদের জন্য, তাদের নিয়ে, তাদের হয়ে।
[আমরা রাজপথে কেন/নির্মলেন্দু গুণ/নির্বাচিতা]
সুষম সমাজব্যবস্খা ও মেহনতী মানুষের অধিকার নিয়ে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যে কজন কবি বাংলাদেশে উচ্চকণ্ঠ যাচ্ছিলেন, মোহন রায়হান তাদের প্রথম সারির। দু:শাসন, স্বৈরতন্ত্র, ঘাতক দালালদের উথান, আর পোড় খাওয়া মানুষের পরাজয় তাকে প্রতিবাদী করে তুলেছিল স্বপ্নখোয়া প্রেমিক পুরুষের মতো। ‘জ্বলে উঠ সাহসী মানুষ’ শিরোনামের প্রথম কাব্যগ্রন্থটিই তাই জানান দিয়েছিল একজন সাহসী কবির সফল অস্তিত্ব। ১৯৭৯তে প্রকাশ পায় গ্রন্থটি।
‘তোমাদের লোভাতুর জিভ টেনে ছিঁড়ে নেবো আমি
অলীক উচ্চারণে যারা নিজেদের ভেবে থাকো কবি
ভূমিতে শিকড়হীন; যে বৃক্ষ বাড়েনি তার মূলের মাটিতে
সেই শিল্প তরু আজ আমাদের প্রয়োজন নেই।
: : : : : : :
আমি হ্যান্ড গ্রেনেডের মতো আমার প্রচণ্ড রুদ্র-রোষ ছুড়ে দিই
সেই সব বুদ্ধিজীবী, লেখক, শিক্ষক কবি ঘুণে ধরা রাজনীতিকের প্রতি। ’
[সাহসী মানুষ চাই/জ্বলে উঠি সাহসী মানুষ]
দুই.
বাংলা কাব্য সভায় কবি মোহন রায়হানের আগমন অনেকটা উলকার গতির মতোই। এ প্রসঙ্গে কিছু স্মৃতি তর্পণ না করলেই নয়। ১৯৮০-৮১ সালের কথা। আমি তখন একটি জেলা শহরের কলেজ ছাত্র।
হঠাৎ একদিন রাত পোহাতে দেখি, সমস্ত জেলা শহরের দেয়ালগুলো ছেয়ে গেছে পোস্টারে পোস্টারে। ‘মোহন রায়হানের মুক্তি চাই’। মাথায় লালটুপি। উঁচু শির। চোখে তীব্র প্রত্যয়ী একজন কবির ছবি।
সেই পোস্টারে সে সময় ছেয়ে গিয়েছিল গোটা বাংলাদেশ। দেশের মফস্বল শহর, গ্রাম গ্রামাìতরের কবিকুল সমস্বরে বলে উঠেছিলেন, ‘মোহন রায়হানের মুক্তি চাই’। কবিরা প্রতিধ্বনিত করেছিলেন সেই পঙ্ক্তিমালা :
যে চোখে নিবিড়
সমুদ্র নীল ঢেউ
লোনা জল মাখা
সে চোখে জ্বলুক
বিনাশী আগুন
কুমারী তোমার হলুদ বাটার হাতে
বিচূর্ণ করে শক্রর মস্তক।
আমি আছি হাতে বিজয়ের জয়মালা নিয়ে খুব স্খির
বুকের তলায় বিপ্লবে বিশ্বস্থ গভীর প্রেমে।
[সাথী/জ্বলে উঠি সাহসী মানুষ]
তার কাব্যগ্রন্থ ‘আমাদের ঐক্য আমাদের জয়’ (১৯৮০), ‘সাময়িক আদালতে অভিভাষণ’ (১৯৮৪), আর হলো না বাড়ি ফেরা (১৯৮৫)তে বাংলাদেশে স্বৈরাচারী জগদ্দল পাথরের শাসন চিত্র এবং এর বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের স্খিরচিত্র চিত্রিত হয়েছে অত্যìত সুনিপুণভাবে।
তিনি তুমুলভাবে আলোচিত হয়েছেন তার ‘ফিরে দাও সেই স্টেনগান’ (১৯৮৬) কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর।
ফিরে চাই, ফিরে চাই সেই স্টেনগান
রেসকোর্সের সবুজ গালিচায় বিরহ কাতর
প্রেমিকের মতো জমা দিয়েছিলাম অজানা আশঙ্কায়
প্রিয়তম সেই হাতিয়ার,
ফিরে চাই, ফিরে চাই সেই স্টেনগান।
[ফিরে চাই সেই স্টেনগান/নির্বাচিত কবিতা]
তিন.
মোহন রায়হানের কবিতায় রাজনীতি, স্বদেশ প্রেম, মিলন-বিরহের কথা এসেছে অত্যìত বিবেকী চিত্রকল্পে। বিপ্লবী চে গুয়েভারা বলতেন, আমি যখন অস্ত্র শিয়রে রেখে ঘুমাই তখনো কলম নামক শাণিত অস্ত্রটি আমার বুক পকেটে থাকে। মোহন রায়হান যতই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হোন না কেন, তিনি যে তার দেশমাতৃকার আঁচলে খুব সহজে ধরা দিয়ে অবোধ শিশু হয়ে যান, তার পরিচয় পাওয়া যায় তার শব্দ মালায়।
ক. ‘আমি জানি রক্ত দানের পুণ্যেই শুধু তোমার মুখে হাসি ফুটবে মাগো
শিউলি বকুল প্রিয় ফুল শুধু সেইদিন খোঁপায় গুঁজবে সুখে তুমি। ’
[তোমার জন্যে মাগো/জ্বলে উঠি সাহসী মানুষ]
খ. আমি তোমার কাছে যেতে চাই
আহা! কতদিন পান করিনি তোমার চুম্বন সুধা,
কতদিন মাথা রেখে ঘুমুইনি তোমার কোমল বুকে!
কিন্তু এতো মৃত্যু, এতো রক্ত, এতো লাশ রেখে
আমার যাওয়া হয় না, যাওয়া হয়নি তোমার কাছে
যা ও য়া হ য় না:
[যাওয়া হয় না/নির্বাচিত কবিতা]
গ. বেদনার নীল ছায়া ঢাকা তোমার শোকার্ত মুখ
থেকে মুছে ফেলে প্রগাঢ় রক্তের কারুকাজ
জুঁই সাদা হাসির উলাসে মগ্ন
স্বদেশের নিষ্পাপ মুখ দেখে যেতে চাই।
[তোমার মুখ/ঘাতক না প্রেমিক]
জীবন সংগ্রামেরও একটি নিজস্ব ছন্দ আছে। নায়ের দাঁড়, মৃত্তিকায় লাঙলের ফলার কর্ষণ, বৃষ্টির মেঘঘন বর্ষণ, কিংবা আবিষ্ট দুপুরে শিউলি ফুলের পাপড়িতে বাতাসের যে ছন্দ জন্ম নেয় তাও হতে পারে একজন কবির অìতর্দৃষ্টিতে শক্তিমান কবিতা। মোহন রায়হান তার কবিতায় তেমনি কিছু নিজস্বতা তৈরি করে নিজেকেই নিজে অতিক্রম করেছেন ক্রমশ।
তার যৌবন বার বার সমর্পিত হয়েছে যেমনটি মিছিলে, তেমনি ভাস্বর হয়ে উঠেছে মিলন মূর্ছনায়।
‘না, তুমি আসনি, কাছেও ডাকোনি, আমি খুলিনি দুয়ার।
প্রখর আঁধার ছুঁয়ে আছে এই ঠোঁটে
শব্দহীন নি:সঙ্গ ঘরের মতো একা একা কেটেছে সময়
তুমি এলে না প্রভাতী, আনলে না ভোরের সকাল।
[তুমি এসো/নির্বাচিত কবিতা]
যমুনা পাড়ের এই কবি, সময়ের খুব ঘনিষ্ঠ প্রবক্তা হয়েই জেগে উঠেছেন, মানুষের প্রয়োজনে, স্বাধীনতার প্রয়োজনে, কালের প্রয়োজনে।
অনুপ চেটিয়া আসামের একজন বিপ্লবী।
তিনি
অìতরীণ হন বাংলাদেশের কারাগারে। সেই মুক্তিকামী সংগ্রামী অনুপ চেটিয়ার মুক্তি চেয়ে মোহন রায়হানই বাংলাদেশের একমাত্র কবি যিনি সোচ্চার হয়েছিলেন। কবিতা লিখেছিলেন।
‘আমাদের মুক্তি সংগ্রামের অকৃত্রিম
বন্ধুদের ঠাঁই তাই কারাগার নয়
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনের সুরভি বাগান
অনুপ অনুপ্রবেশী নয় হৃদয়-প্রবেশ মুক্তিযোদ্ধা
অনুপ চেটিয়ার মুক্তি চাই
[অনুপ চেটিয়ার মুক্তি চাই/সবুজ চাদরে ঢাকা রক্তাক্ত ছুরি]
এই কবির আরো বেশকিছু কবিতা আছে যা কালের সাক্ষী হয়েই থেকে যাবে অনìতকাল। ‘বসু তোমাকে মনে পড়ে যায়’ তেমনি একটি কবিতা।
মধুর কেন্টিনে যাই
অরুনের চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে
বসু, তোমাকে মনে পড়ে যায়:
: : : :
১১ই জানুয়ারি শিক্ষাভবন মুখে সামরিক শাসন ভাঙ্গার
প্রথম মিছিলে তুমি ছিলে
রক্তাক্ত ১৪ই ফেব্রচ্ছারির কাফেলায় তুমি ছিলে
‘লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাক’ মিছিল ছাপা দেওয়ার দিন তুমি ছিলে:
[বসু তোমাকে মনে পড়ে যায়/কবিতা গণআন্দোলন/মুহম্মদ নুরুল হুদা সম্পাদিত]
এ ছাড়াও ‘মোহাম্মদ আলী : বাংলাদেশ’, ‘মোহন রায়হানের রক্ত চাই’, ‘নির্বাসিত ভূখণ্ডে’, ‘ইশতেহার’, ‘শাশ্বত হে শহীদেরা’, ‘আবার আমার নামে’, ‘লোকটি ছিলেন’, ‘শকুন সময়’, ‘তাহেরের স্বপ্ন’, ‘মিলনের মৃত্যু নেই’, ‘১৫০০ সাল’, ‘সবুজ চাদরে ঢাকা রক্তাক্ত ছুরি’ প্রভৃতি রাজনৈতিক কবিতাগুলো শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে।
চার. মোহন রায়হান লিখছেন। ভাঙছেন নিজেকে। গড়ছেন শব্দের সমগ্র সত্তা। সাম্প্রতিককালে তার লেখা কবিতাগুলোতে একটি ভিন্ন আহব লক্ষ্য করা যায়।
প্রেমের নান্দনিক সৌন্দর্যে তিনি নিজে যেমন প্লাবিত হন, তেমনি সম্মোহিত করেন তার পাঠককূলকেও।
আহা! চন্দ্রোদয়! পাহাড় চূড়ায়!
পৃথিবীর আর কোনো শিল্প সৌন্দর্যই নয়
তুলনা তোমার।
এসো আরোহণ করি; প্রতিটি সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে
পৌঁছৈ যাই সুখ স্বর্গের অপার আলোকে
এই সোনাঝরা মায়াবী মোহন জ্যোৎস্নায়
শুধু উলাস, শুধু উলাস, শুধুই উলাস।
[মোহন জ্যোৎস্নায়/প্রথম আলো/১ জুলাই ২০০৫]
কবি মোহন রায়হানের কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা চৌদ্দেরও অধিক। বেরিয়েছে তার কাব্য সমগ্রও।
‘গোলাপজানের পকেট পঞ্জিকা’ (১৯৮৭) কাব্যগ্রন্থটির সবকটি কবিতাই শ্রমজীবী মানুষের চলমান দর্পণ হয়েছে সাবলীলভাবে।
‘দ্য পাবলিক লাইব্রেরি অফ নিউইয়র্কে’র সংগ্রহ তালিকায় স্খান পেয়েছে তার কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য সিলেকটেড পোয়েমস অফ মোহন রায়হান’ (১৯৯৩)।
তার কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তিনি যা বলেছেন তা স্পষ্টতার দৃঢ়তায় পেয়েছে অনুপম পরিচর্যা। কবির জীবনের ব্যক্তিগত স্পর্শ, লব্ধ অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে তার পঙক্তির নির্মাণশৈলীঙ। সব অন্যায়, নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি নিজে যেমন দ্রোহী হয়েছেন তেমনি তার পাঠক-পাঠিকার জন্য তিনি এঁকেছেন স্বপ্নের কারুচিহ্ন।
মার্কিন কবি ডবিউ এস মারউইনের একটি কথা আমি বার বার চারণ করি। ‘যে কবি তার সময়কে নিপুণতার সঙ্গে তার পঙ্ক্তিতে ধারণ করতে পারেন তিনিই তার সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি। ’
হ্যাঁ, মোহন তার সময়কে ধারণ করেই হয়ে উঠেছেন বাঙালির তারুণ্যের অগ্রসরমান প্রতীক। তার কবিতা হয়ে উঠেছে ইতিহাসের সাক্ষী।
নগরনটীর কামাতুর নিতম্ব সম্পদে লাথি মেরে
যে কোনো সময় বেছে নেবো ভূতল জীবন
আবার সশস্ত্র হবো গোপন গেরিলা।
আবার রক্তাক্ত রণাঙ্গনে প্রতিশোধে
উঠবো ঝলসে।
[শিরোনামহীন]
কবি মোহন রায়হানের জন্ম ১ আগস্ট ১৯৫৬ সালে। সিরাজগঞ্জের খোকশা বাড়ির দিয়ারপাচিল গ্রামে। আতত্যাগী এই মানুষটি আজো স্বপ্ন দেখেন। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা এই বাংলাই তার প্রথম ও শেষ মìতব্য।
তার প্রিয় অস্ত্র, তার কবিতা। আর তার কবিতাগুলো বেঁচে থাকবে যুগে যুগে গণমানুষের হিরন্ময় চেতনার বাণীবন্দনা হয়েই। মোহন তার কবিতায় আমাদেরকে উথানের যে গান শুনিয়েছেন, তা আমাদের প্রাণে বাজতেই থাকবে যতদিন থাকবে এই বিপুল নিসর্গ। জয় হোক তার উজ্জ্বল পঙ্ক্তিমালার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।