আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্যায় বন্যদের পরিচয়



সারাদেশে চলছে ভয়াবহ বন্যা। এতে কোটি কোটি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন ধরনের সংকটের মধ্যে খাদ্য ও বিশুদ্ব পানি সংকট প্রকট আকার ধারন করেছে। এর মধ্যে কিছু বন্য প্রকৃতির মানুষের আনাগোনাও বৃদ্বি পেয়েছে। তাদের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।

এক শ্রেনীর লোকেরা বলছেন ঘরোয়া রাজনীতি বন্ধ থাকার কারনে রাজনৈতিক দলগুলো এগিয়ে আসতে পারছে না। সারা বছর ধরে (যুগের পর যুগ) জনগনকে বাঁশ দিতে অনুমতি লাগে না ,আর এখন জনগনের পাশে এসে দাড়ানোর জন্য সরকারের অনুমতি লাগবে। যতসব বন্য কোথাকার। এদের বিরুদ্বে রুখে দাড়াতে হবে। "সুশীল সমাজ" নাম শুনলেই শ্রদ্বায় মাথা নত! হয়ে যায়।

এরা কি করছেন। রাত ৮:০০ টার পর থেকে এদের আর বিশ্রাম নেই। বিভিন্ন চ্যানেলে বুলি ছাড়তে ছাড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। চ্যানেলগুলোকে বলছি- ভাই এদের একটু বিশ্রাম দিন। এরা এখন একটু বন্যার্তদের পাশে এসে দাড়াক।

সারা বছর ধরে শুধু বুলি আউরিয়ে বেড়ায়। মানুষের পাশে এসে কিভাবে দাড়াতে হয় তা এরা জানে না। এরা সকল সরকারের আমলেই বিশেষ সুবিধা ভোগ করে বাকপটুতার কারনে। এরাও এক শ্রেনীর বন্য, কারন শুধু নিজের স্বার্থ দেখে। সবশেষে সিজনাল বন্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।

এরা মানুষের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে সুযোগে সদ্ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে এরা সারাদিন ধরে মাইকিং করে প্রতিটি বাসা-বাড়ি থেকে কাপড় থেকে শুরু করে এহেন ও কোন জিনিস নাই যে নেয় না। প্রশ্ন হচ্ছে এগুলো বন্যার্তদের কাছে কতটুকু যায় আর নিজেদের রাতের আড্ডার খোরাক হিসেবে কতটুকু যায়?এদের চেহারা সুরত দেখে পাঠকরা বলবেন কি এরা কোন শ্রেনীর লোক?আপনার বাসায় হয়তো এখনই কলিংবেল বেজে উঠেছে। প্লিজ দেখুন তো। আমার কথা হচ্ছে জাতির এ অসহায় অবস্থায় আমরা যে যেভাবে পারি সেভাবে বন্যার্তদের সেবায় এগিয়ে আসব।

আমার গ্রামের বাড়ির লোকই তো এখন পানির নীচে। তাকে সর্বাত্বক সাহায্য করি। এতে গলাবাজির কি আছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.