যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
প্রাকৃতজনদের ভিড়ে আমাকে যারা হেঁটে যেতে দেখ
সমুখে কিংবা পেছনে, স্রোতের তালে তালে
মানুষের দেয়া ছায়াগুলো ছড়িয়ে
তাদের জন্যই বিশেষত;
এই মর্মকথন, রক্তের মত বিস্বাদ
বলে রাখা ভাল, আমি নেকড়ে মানব
অন্য আর মানুষগুলোর মতই
দাঁত আর নখসহ, মুখ আর মুখোশ সহ
আমারও আছে শয়তান; আমারও আছে ঈশ্বর
তবে বালকের অভিমানের মত ঠিক এপিঠ ওপিঠ নয়
আবার পূর্ণ-বয়স্কা স্তনের মত সবদিকই নয়
তারা আমার নিকট বন্ধু, শৈশবের খেলনার মত
মনোরোম এবং দ্বি-চারী
আমি তাদের মতই হাতড়ে বেড়াই স্বপ্নের অভিঘাত
মানবীয় দু:স্বপ্নে আর প্রেমিক থাবায়
আমাকে যারা শুয়ে থাকতে দেখ
পার্কের বেঞ্চে, ভিক্ষুকের প্লাস্টিকে অথবা স্তম্ভগুলোর বেদীতে
বিশেষত তাদের উদ্দেশ্যেই;
তোমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারনি
জানতে পারনি
ভিড়ে কিংবা একাকিত্বে কোথায় তোমাদের স্থান
গোত্রপতির সন্ধানে এখনো তোমাদের ক্লান- চোখগুলো ম্লান
অথচ ক্লান্ত হওয়া দৈনন্দিনতার মতই
স্রোতে, বিপরীতে, হেঁটে, চলে, লাশ হয়ে
অনেকটা গর্ভপাতের মত
কখনো বেদনাদায়ী কখনো পরিত্রাণী সুখ
তবুও দ্বিচারী আমি নই পুরোটুকু
তোমরা যারা বিভ্রান্ত, তাদের জন্যই বলা
বহুগামী আমি মানুষের মতই;
বালকে, পুরুষে, বয়সে, নারীতে এবং হিজড়ায়
অথচ কোনটাতেই শয়তানের মত একনিষ্ঠ নই
অসৎও আমি পুরোটুকুই
কেবল কামড় আর ক্ষুধাটুকু ছাড়া
হৃদয় আর রক্তের স্বাদেই আমার উপসম
উপাচারের বাহুল্যটুকুও তোমাদেরই অনুকম্পা
সমাজ সভ্যতা ও সংস্কৃতির মত মোলায়েম গালি
তাই পূর্ণিমার চাঁদের মত হিংস্র এই পাঠ
কেবল মাত্র তাদেরই জন্য;
যারা নিশুতি রাতের দু:স্বপ্ন নিয়ে হেঁটে বেড়ায়
ভর দুপুরে, মাঝ রাস্তায় আর ঝিমুনী ধরা বাসে
যারা সূর্য্য দেখলে এখনো মল বলে বিভ্রান্ত হয়
ভয় আর ভিড়ে মিশে যায় অবলীলায়
বিশেষত সেইসব বিভ্রান্তের জন্যই বলা;
পাল্টে গেছে পুরাতন পৃথিবী, বদলে যাচ্ছে স্থানিক নিয়ম
অভ্রান্ত চন্দ্রালোকে নয়
র্রৌদ্র্যদগ্ধ দুপুরেই এখন নেকড়ে মানব হানা দেয়
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।