মুক্তমন। █▓▓▓▒▒▒░░░░ ===========================================
-একটি পত্র পল্লব
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
তিমির রজনী
সুপ্ত শর্বরী
স্তদ্ধ নির্জনে
নিকষ অমাবশ্যায়
প্রস্তর সম
শুষ্ক মৃত্তিকায়
কন্টকতর
চুরচুরে কণায়
হাটিয়া হাটিয়া
মাটিতে পদঘাত নয়-
শুধু মাটির আঘাতে
পদতল ফাটিয়া রক্তাক্ত
থেঁতলানো ক্ষত-বিক্ষত
__________________________________
আমি চলিয়াছি তাহারই পানে
সে কোথায় আছে - ঈশ্বর জানে
আমিতো পাগল- পাগলেরি মত
ছুটিয়াছি। বাঁধা আসে শত শত
রাত্রি পারায়ে রৌদ্র প্রখর
বিমেঘ আকাশ। তপ্ত বালুকারাশি
কাষ্ঠীয় মাটি - ধূধূ মরুভূমি
এক ফোটা নাহি পানি শুধু মরিচিকা
যতদূর যায় চোখ আগুনের শিখা
কোথা জমে চোরাবালি - হেথা নাই মাটি
কোথাও পাহাড় - দেখি দূর্গম গিরি
পিছু না তাকাই ফিরে
সহস্র ক্রোশ ভ্রমণিয়া আমি এক নগরীর তীরে
__________________________________
নিশীথ রাত্রি সম হিমাদ্রি
সাথে ওই রাত জাগা নিশাচর
ডাকিয়া ফিরিয়া যায় দূর - বহুদূর
আমি হেথা চাতকের দৃষ্টি নিয়া
বাতায়ন মাঝে বসি
প্রিয়ার চেহারায় দেখি
কপোলে তাহার তিলক ফোঁটা চন্দ্র
পূর্ণিমায়। শতবর্ষ যায় কাটিয়া।
ভোরের শিশিরে - সিক্ত ঘাসে
সোনালী আভা ঝিলমিলিয়ে
রক্তিম আভায় জেগে
উঠি সখি কয়
তুমি কেন আসিয়াছ বাতায়নে বসিয়াছ
আমি কহি- কেমন আছো তুমি প্রিয়
কহিল-
আমি আছি সুখে। আমার লাগিয়া
শুভ কামনা আর লাগিবেনা
তুমি যাও চলিয়া। আমার আছে দুনিয়া.
আবেগী নই আমি তোমার মতো.
করিনা বিশ্বাস কোনও প্রেমের।
আমি সেই সিক্ত নয়নে
আজি এই চির বিরহের উৎসবে
দাঁড়াইয়া তার বাতায়ন পাশে
তার দৃষ্টিপাতে রয়েছি যে চাহিয়া.
নিষ্ঠুর অবতার। অবাক চাহনি তার
তির্যক - বাঁকা - তীক্ষ্ণ
আমি আর নেই আমাতে।
শুধু বেদনার সুর ওঠে
বুকের পাজর চুরচুরে ভেঙ্গে.
__________________________________
শুধু দূর থেকে তারে অনুসারি
তাহাকেই দেখি - দেখিতেই থাকি
তার পানে চাই
সেতো কভু জানে না। তার তরে গান গাই
তাহা-ই সে বুঝে না....
আগুন ঝরা রোদে তপ্ত বালুকণায়
আহত শরীর - শুষ্ক রক্তশূন্য
সূর্য্যের বুঝি করুণা লাগে
সৌরশক্তি স্তিমিয়া হিমায়তনে
এই বুঝি... শীতল ঝর্ণাধারা
অবিরত। মেঘহীন শূন্য আকাশ
চেহারায় বেদনার নীল নিয়ে
বলে-
রে চির দুখী!
তুমি কি শোননি নজরুল গীতি---
"তুমিও শূন্য আমিও শূন্য এসো মোরা হই সাথি। " (এই চরণটি সংগৃহিত)
শূণ্য তুলে নেয় আমাকে
নীহাড়িকার পরম কক্ষ পথে
মম দেহ গিয়াছে হারাইয়া
আহা কী আনন্দে - আকাশে বাতাসে
প্রাণহীন - দেহ ক্ষয়ে - নাহি কিছুই
আমি শুধু দুই চোখের-ই মালিক.
মহাকাশের সেই চূড়ান্ত শৃঙ্গে
বেঁচে রই নিশিদিন শুকতারা হয়ে...
___________________________________________________
আমায় কখনো যদি মনে পড়ে
শেষ প্রহরে তুমি নিদ্রা জাগিয়া
জানালার পাশে দাঁড়াইয়া
ঐ দূর আকাশের পানে চাহিয়া
দেখিবে- আমি শুকতারা নির্ঘুম রাতে
তাকিয়ে আছি তোমার পানে
দিয়াছি তোমায় পাহারা
কেবলি সে মায়া- চির বিরহের ছায়া
তুমি জানিবে না তাহা- তুমি জানিবে না
জানিবে মহাশূন্য, গ্রহ-তারারাজি
আর সেথাকার সিক্ত পক্ষ-পাখি
আজি এই ঝরা পত্র-পল্লব
ছাড়িয়া দিয়াছি পৃথিবীর তটে
মুক্ত মেঘমালায়। ভাসিয়া ভাসিয়া
হাওয়ায় উড়িয়া
দূর আকাশের পথ পাড়ি দিয়া
কোনও এক যুগে - যুগান্তরে
কোথা কোন্ লোকালয়ে
তোমার সুখের নীড়ে
পৌঁছিবে ইহা তোমার হাতে।
ওগো স্মরণ গাঁয়ের প্রিয়া!
ব্যস্ততার ফাঁকে
যদি কভু তব সাধ জাগে
খোলা জানালায়
কিছুটা সময় বসিয়া অতি নিরালায়
বহু পুরনো - অথচ স্মৃতির খাতায়
স্বর্ণের কালিতে - রূপার পাতায়
লিখা এই চিরকুটখানি। নিও পড়িয়া।
__________________________________________________
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
ইহা কবিতা নহে
নয় কোনও কাব্য।
পদ্যপাতা ঝরিয়া গিয়া
শুকাইয়া পদপিষ্টিয়া
চুরিয়া গিয়াছে
সে তো কবেই- বহু আগেই।
এযে নিভৃতচারী
চির বেদনা জয়ী
মহাশূন্যে
টিপটিপ করিয়া জ্বলিতে থাকা
নিশাচর সেই আত্মাভিমানি
শুকতারা'র জন্ম কথা
চির সুখী জীবনের বিরহগাঁথা।
যে বাঁচিয়া রহিয়াছে
আপন প্রিয়ার মাঝে
কপোলের আঙ্গিনায়
ক্ষুদ্র অথচ মুগ্ধ একটি তিলক সেজে।
__________________________________
উৎসর্গঃ যার গণ্ডদেশে
চিরদিন রহিয়াছি অনিমেশে
__________________________________
কৃতজ্ঞতা তাদের তরে
রাখিয়াছি থরে থরে-
যারা আমায় দেয়নি ব্যথা
আমিই নিয়াছি টেনে
গোলাপের কাঁটা জেনে
তোমরা যদি না-ই থাকিতে
আমার পাশে না আসিতে
চন্দ্র-সূর্য পাইতে কোথা?
অস্তিলে এই ধরা-ধরণি
শুকতারা-টা না জন্মিলে
মহা-প্রলয় ঘটতো যেথা??
____________________________________________________
---ইখতামিন
**********************************************************
আমার মরণের
প্রথম কবিতা
দ্বিতীয় কবিতা
তৃতীয় কবিতা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।