তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
ফাজিল টাইপের একটা ডেভোলপমেন্টে কাজ করতে হচ্ছে। আই.বি.এম কোন আমলে পি.এল.এম নামে একটা প্রোগ্রামিং বানাইছে সেটা ওয়েব ঘেটে বাহির করতে হয়। কোম্পানি ১৭ বছর আগে প্রটেকশন ডিভাইস ডেভেলপ করেছিল পি.এল.এম দিয়ে। এখনও আছে।
এরা ইন্টারফেস চ্যান্জ করতে রাজি না। কারন, প্রটেকশন ডিভাইগুলো খুব সিকিউর এবং সাকসেসফুল্লি সবাস্টেসন অটোমেশনে রান করতেছে। আমাকে ভি.এন.সি দিয়ে আরেক সিটিতে সার্ভারে অবস্হিত মেইন ডাটাবেজে সিঙ্গিল পয়েন্ট/ডাবল পয়েন্টগুলো আপডেট করতে হচ্ছে। একটা পয়েন্ট এন্টার করতে সময় লাগে প্রায় ১.৩০ মিনিট। এই সময়ে অন্য কোন কিছুতে কনসেনট্রেট করা যায় না।
পুরো এক সপ্তাহ ধরে এই ফাজিল টাইপের কাজ করতে হচ্ছে। বস পেছন ফিরে দেখে মুচকি হাসে। সেও এক সময় এই ফাজিল টাইপের কাজ করেছিল। পরে সে ভালো একটা বুদ্ধি দেয়। এয়ারফোন কানে লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে কাজ করতে বলে।
সপ্তহান্তে টিটু ভাইয়ের আগমন। ফ্রাঙ্কফুটে কোথায় কোথায় ঘুরা যায় সেটা আমি নিজেও জানি কম। পড়াশোনার শেষ ভাগে এসে ভাইয়ার বকা খেয়ে কয়েকটি জায়গা ঘুরা হয়েছিল। আমি আবার বন্ধু-বান্ধব না থাকলে ঘুরে মজা পাই না। বরং বাসায় বসে বসে ছোট বোনের সাথে কম্পিটিশনে কার্টুন দেখি।
টিটু ভাইয়ের আসার কথা শুনে পালমেন গার্টেনর কথা মনে পড়লো। কিন্তু বেশ আগে গিয়েছিলাম রাস্তাও ঠিকমতো মনে নেই। ছোট বোনকে জিঞ্জেস করলাম যাবি নাকি। উনি নাক উচু করে বল্লেন-আমি ওখানে প্রায় ১৫/২০ বার স্কুল থেকে গিয়েছি। আইসক্রিমের লোভ দেখিয়েও লাভ হলো না।
ফ্রিজে নাকি অনেক রকমের আইস আছে। রাস্তার লোকেশন জিঙ্গেস করলে বলে ভুলে গেছি ।
নিজের আন্দাজেই রওয়ানা হলাম এবং প্রথম চান্সেই পেয়ে গেলাম। বেশ মজার জায়গা। গ্রিন হাউজ বানিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রানিও উদ্ভিদগুলোকে রাখা হয়েছে।
অথচ এরাই গ্রিন হাউস বলে চিল্লায়। এক এক ব্লকে এক এক দেশের উদ্ভিদ ও প্রানি। রাস্তার ধারে ফুটে আছে অসংখ্য রকমের ফুল। বিভিন্ন রঙ,বিভিন্ন সাইজের ফুল। ছোট লেকের মতো করে তৈরী পুকুরগুলোতে বিভিন্ন রকমের পাখিৎহাস।
বাচ্চাদের খেলার জন্য বেশ বড় জায়গা। মা-বাবা বাচ্চাদের নিয়ে এসে বেশ মজায় আছে। পিচ্চগুলো খেলায় ব্যস্ত। একটা বড় পুকুরে শতশত মাছ। হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়।
একটু খাবার দিলেই ছুটে আসে। পিচ্চিগুলোর মতো আমিও হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করলাম। নৌকা দিয়ে ঘুরার ব্যবস্হা আছে। ছোট একটি ট্রেনও আছে। ঘুরে ঘুরে বেশ দুরে একটা জায়গায় কাচ ঘেরা ঘরে বাংলাদেশের গাছ,মাছ দেখতে পেলাম।
ভিতরের তাপমাত্রা প্রচন্ড বেশি। সেই সাথে হিউমেডিটিও। লাউ গাছে ফুল ফুটেছে, কচু গাছ, কচুরিপানা,সাপলা,ছোট ছোট বিভিন্ন রকমের পরিচিত সব দেশি মাছ। সেই গ্রামের মতোই পরিবেশ। অনেক দিন পর দেখে বেশ ভালো লাগলো।
৫/৭ মিনিটেই সবার ঘাম ছুটে গেছে। সবাই ক্লান্ত। যাবার রাস্তা খুজতে হচ্ছে এবার। যদিও অনেক কিছুই তখন দেখাতে বাকি আছে। এইসব জায়গায় যেতে হলে কিছু খাবার পানি সাথে নিয়ে নেওয়াই উত্তম।
অনেক বড় জায়গা। হাটতে হাটতে পা ব্যথা হয়ে যায়।
বেড়ানো শেষ হতেই শুরু হলো দাওয়াত খাওয়ার পালা। তিন বাসায় দুপুরের দাওয়াত। একজনের বাসায় খাই আর অন্য বাসার দাওয়াতের কথা গোপন রাখি।
বিকেলটা মাইন নদীতে স্টিমার ভ্রমন। স্টিমারে বিকেলের সমচা, ড্রিক্সস,আইসক্রিম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।