আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঞ্চনা থেকেই গেল স্বাধীন বাংলা দলের

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এবারও মিলছে না স্বাধীনতা পদক। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানগতভাবে অনেককে দেশের এ সর্বোচ্চ পদক দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছে। কিন্তু ৪৩ বছরেও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি কোনো সরকার। অথচ ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে আরও আগে। ক্রিকেট বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা পদক পাক এ নিয়ে কারোর আপত্তি নেই। কিন্তু ফুটবলে স্বাধীন বাংলা দলকে বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন? তারা কি এ পদক পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। মুক্তিযুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফুটবলাররা স্বাধীন বাংলা দল গঠন করলেন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে মুক্তিযুদ্ধে বিশাল ফান্ড সংগ্রহ করল। শুধু কি তাই, দেশের বাইরে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়েছিল স্বাধীন বাংলা দলের খেলার মাধ্যমে। কোনো দেশই তখন ২৬ মার্চ স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। অথচ এর মধ্যে ২৪ জুলাই স্বাধীন বাংলা দলের এক প্রীতিম্যাচে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানোর পাশাপাশি আমার সোনার বাংলা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়েছিল। পুরো গ্যালারি দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানিয়েছিল। দেশের জন্য ফুটবলার এমন বিরল অবদান রাখার পরও কি স্বাধীনতা পদক পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আগে যতই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হোক না কেন এবার ক্রীড়ামোদীদের আশা ছিল স্বাধীন বাংলা দল জাতীয় পুরস্কার পাবেই। কেননা উদ্যোগটি নিয়েছিল সরকারই। গত বছর ক্রীড়াপরিষদ বাফুফের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল স্বাধীনতা পদক পেতে পারে এমন মানের ফুটবলারের তালিকা দেওয়া যাবে কিনা। জানা যায়, অনেকে ব্যক্তিগতভাবে লবিং চালিয়েছিলেন দেশসেরা এ পদকের জন্য। কিন্তু সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কোনো ব্যক্তি নয় স্বাধীন বাংলা দলের নামই বাছাই কমিটির কাছে তুলে দেয়। সালাউদ্দিন তরুণ বয়সেই স্বাধীন বাংলা দলে খেলতে ভারত যান। সুতরাং তার কাছে এ দলের স্থান ও গুরুত্ব আলাদা। সরকারের উচ্চমহল থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে স্বাধীন বাংলা দলকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেবেই। ঘোষণা হলো কিন্তু এবার পদকের তালিকার ঠাঁই হলো না স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নাম। স্বাধীন বাংলা দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু তাই হতাশার সুরে বললেন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ঠিকই আমাদের দলকে স্বাধীনতা পদক দিতেন। এখন মৃত্যুর আগে কেন, জীবনেও স্বাধীন বাংলা দলকে পদক দেবে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান। কেন যে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে তা নিয়ে রহস্য থেকেই যাচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.