যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
ত্রিভুজের "ছাগু" হয়ে উঠা (সম্ভাব্য শেষ পর্ব - প্রথম অংশ) পর...
এবার শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কিছু কথা। যা আগেও বলেছি। ১৯৭৫ সালে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর একটা প্রচেষ্টা চলেছে শেখ মুজিবকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার। এই জন্যে আমরা দেখে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যণ্ত একমাত্র টিভি চ্যানেল বিটিভিতে একরকম নিষিদ্ধ ছিলো শেখ মুজিব। ৭ই মার্চের ভাষন ছিল একটা নিষিদ্ধ বস্তু - গ্রামফোন রেকর্ডে সংরক্ষিত ভাষনটিকে দেখেছি রাস্তায় ফেলে পা দিয়ে মাড়াতে।
কিছু মানুষ সেই ভাষনটাকে লুকিয়ে রেখেছিল বলে আজ আমরা সেটা শুনতে পাচ্ছি। একই কারনে এসেছে স্বাধীনতার্ ঘোষনা সংক্রান্ত বিতর্কটি। সবই শেখ মুজিবকে আড়াল করার জন্যে।
কেন শেখ মুজিবকে আড়াল করা দরকার? কারন শেখ মুজিব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস একই সুত্রে গাঁথা। শেখ মুজিবকে বিতর্কিত করতে পারলে স্বাধীনতাকে অর্থহীন প্রমান করা অনেক সহজ হবে বলে একদল বিশ্বাস করে।
তারা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যেমন - ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের তার কাজ, তার ছেলেদের বিষয়, ১৯৭৪ সালের দূর্ভিক্ষ ইত্যাদি - কিন্তু এগুলোতে কোনটাই দেশের স্বাধীনতার জন্যে যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত না হওয়ার পরও সেগুলোকে এনে বিতর্কটাকে চালু রাখার প্রচেষ্টা হচ্ছে।
এখন লক্ষ্যনীয়, যদি প্রমান করা যায় - শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা চান নি - তা হলো বলা যাবে গো. আ. স্বাধীনতা চান নি - সুতরাং এরা দুই জনই সমান। সে জন্যে রেন্টুর বইটা এদের জন্যে অতীব গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে।
লেখাটা শেষ করি একজন শিবির কর্মীর পরস্পর বিরোধী বক্তব্য এবং মিথ্যাচারের কিছু নমুনা দিয়ে।
ত্রিভূজ এক বার বলছে -
“সত্যি কথা বলতে কি ভাই, মুক্তিযুদ্ধরে আমাদের নেতা নেতৃরা যেভাবে পচাইছে... তাই এই বিষয়ে পড়ার ইন্টারেষ্ট পাইনাই কোন কালে....”।
উপরে বক্তব্য থেকে বুঝা যায়, উনি মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস কোন একটা সূত্র থেকে জেনেছেন এবং কিছু নেতা যে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখার পর উনি কিছুটা হতাশ, সেজন্যে মুক্তিযুদ্ধের লিখিত ইতিহাস পড়েন না বা পড়তে আগ্রহী নন। কষ্ট করে মুক্তিযুদ্ধের যাদুঘরে গেলেও ইতিহাস জানা যায় - উনি সেটাও করেন নি। কারন উনি যা খুঁজছিলেন সেটা সেখানে পাবেন না, নিশ্চিত ছিলেন।
পরের বক্তব্যটা দেখি -
“কিন্তু দেখুন..আমরা ইতিহাস জেনেছি একদল ধান্ধাবাজদের কাছ থেকে... সুতরাং ইতিহাস পুরোপুরি জেনে সিদ্ধান্ত নেবো এদের ব্যপারে।
এর যদি অন্যায় ভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে থাকে, তাহলে একেজন দেশপ্রেমিক হিসেবে অবশ্যই তাদের ঘৃনা করবো... নিশ্চিত থাকুন..!”
কোথা থেকে উনি ইতিহাস জানলেন - সেটা পাঠকরা অনুমান করতে পারবে না - কারন আগের বক্তব্যে উনি বলেছেন ইতিহাস পড়েন না। কে বা কারা ধান্ধাবাজ বা কে তাকে ইতিহাস বলেছে সেটা উনি ছাড়া পাঠকরা জানবে না।
এর পরই ছেলেটার ধান্ধাবাজির মুথোশ খুলে গেল - বলছেন -
"আত্মসমর্পণ করেছেন মুজিব - এমনটা আমি পাইনি কোথাও" ....অনেকেই পায়নি.. কিন্তু ব্যপারটা মিথ্যা নয়..”।
চমৎকার কথা, কোথাও নেই - কিন্তু সত্য, একদম পীরের মতো কথা। ভন্ডপীর ছাড়া আর কোথাও এমন কথা শুনা যায় না।
একজন বিভ্রান্ত এবং একটা মতবাদের প্রতি অনুগত মানুষ হলো ত্রিভূজ। সে এবার এসেছেন আমাদের “ত্রিভূজ লিখিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস” শুনাতে।
একজন বদ্ধ চিন্তার মানুষ হিসাবে উনি উনার সমালোচকদের সবাইকে ব্যান করে শুধু মাত্র তোষামোদকারিদের নিয়ে একটা নতুন ইতিহাস লিখার মহাপরিক্ল্পনা প্রকাশের মাধ্যমে নিজের দলেই গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠার বিপরীতে আমজনতার চোখে “ছাগু” হয়ে উঠার একটা মজার রূপান্তর উপভোগ করা কিন্তু সহসাই দেখা যায় না। এবার আমরা দেখবো ছাগলের হালচাষের দৃশ্য। মুক্তিযুদ্ধের মতো একটা বিশাল বিষয়ে শুধু মাত্র কিছু তোষামুদকারীর সহায়তায় কিভাবে বির্তকিত করা যায় তারই একটা ভয়াবহ প্রচেষ্টার মতো পর্বতের মূষিকা প্রসব দেখবো বাংলাদেশের ০.২% মানুষের ব্যবহূত ইন্টারনেটে।
দেখবো একটা ছাগল কিভাবে ধীরে ধীরে পাগল হয়ে দিগম্বর নৃত্য শুরু করে। দর্শক, দয়া সেই পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।