আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্টুডেন্ট বিড়ম্বনা

আমি আবেগ নিয়ে নয় বাস্তবতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। ফার্মগেট থেকে বিহঙ্গ বাসে উঠলাম মিরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে। বিজয় সরণি আসার পর লাইন ম্যান স্টুডেন্ট (হাফ পাশ) কে কে হাত তোলার জন্য বলল। স্টুডেন্টদের মাঝে এমন একজন মহিলা হাত তুললেন যার বয়স আনুমানিক ৪০ এর মত। লাইন ম্যান হা করে কতক্ষন তাকিয়ে থেকে বললেন আপনি কোন ক্যাটাগরির স্টুডেন্ট? উত্তরে আন্টি মহিলা বলল সেটা আপনাকে জানতে হবে না।

বাসের সাধারণ যাত্রীগন একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন। আমি আর হাসতে পারলাম না। খুব আহত হলাম। তখন আমার মনে হল কোন একটা ক্যাটাগরি বের করে সাধারন মানুষদের কাছে নিজেকে স্টুডেন্ট হিসেবে পরিচয় দেই। সাধারন মানুষ যদি না আবার মুচকি হাসেন।

এটা আমিও মানি আন্টি একজন স্টুডেন্ট হতে পারেন, কিন্তু হাফ পাশ কি আন্টির জন্য প্রযোজ্য। এখন থেকে বাসের মালিকদের ক্যাটাগরি ঠিক করে হাফ পাশ প্রযোজ্য করা উচিত, যাতে করে হাফ পাশ প্রযোজ্য স্টুডেন্টরা সাধারন যাত্রীদের মুচকি হাসির পাত্র না হয়। আমরা যারা বাবার হোটেলের টাকা দিয়ে চলাচল করি, তারা যেন চাকুরীজীবী আন্টিমার্কা স্টুডেন্টদের কারনে সাধারন মানুষের কারনে আর কেলেঙ্কারি না হই। আমার মতে আন্টিমার্কা স্টুডেন্ট এক ক্যাটাগরি আর আমরা আরেক ক্যাটাগরিতে থাকলে মনে হয় কিছুটা মুচকি হাসি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এমনিতেই সাধারন মানুষদের কাছে স্টুডেন্টদের অনেক বদনাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে (বাসে মারামারি, চাদাবাজি, বাস ভাংচুর ইত্যাদি)।

ক্যাটাগরি-১= জেনারেল স্টুডেন্ট (বয়স ৩০ বছর পর্যন্ত), হাফ পাশ প্রযোজ্য। ক্যাটাগরি-২= চাকুরীজীবী স্টুডেন্ট (বয়স ৩১- আল্লাহর দেয়া হায়াত পর্যন্ত), হাফ পাশ প্রযোজ্য নহে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।