[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
উপেন্দ্রর ছেলে সুকুমার । উপেন্দ্র লিখতেন । সুকুমারও লিখতে শুরু করে ।
সুকুমারের ছেলে সত্য। সত্যও লিখতে শুর করে একমসময়।
পারিবারিক তন্ত্র। এই তন্ত্রে তারা দুটি কাজ পারে। এক, তারা ছেলের জন্ম দিতে পারে। দুই, তারা সবাই লিখতে পারে। তিনজনই সাহিত্য চর্চা করে।
তাদের লেখা সুচারু সাহিত্য নিয়ে। একদা পারিবারিক তন্ত্রটি সত্য ঘোষনা করে সত্যও ছেলের জন্ম দাতা হলেন। নাম সন্দীপ। সেও লিখতে শুর করল। স্বল্প সাহিত্য।
তেমন গুরু কিছু নয়।
পারিবারিক তন্ত্রের ২য়টা স্বন্দীপ পূর্ণ করল মোটামুটি। এবং যথাসময়ে ১মটিও। ছেলের নাম হলো স্বর। দীর্ঘদিনের পারিবারিক তন্ত্র ।
সে দ্রুত এক মেয়েকে হরণ করে পালিয়ে বিয়ে করল ছেলের জন্মের আশায়। পারিবারিক তন্ত্রের বাহক হয়ে সাহিত্য চর্চা তো শুর করতেই হবে। তাই সে শুর করল চর্চা। তবে ঘটে পূর্বপুরুষের ক্ষয়িষ্ণু সাহিত্য জ্ঞানটুকুও গোল্লায় যাবার কারনে অবশিষ্ট সে রাখতে পারে নাই বিধায় সাহিত্য হলো না , চর্চায় বার হলো সতেজ অশ্লীল চটি বই। তাতে সে দেখো গেলো পূর্বপুরষেরর চেয়ে সাহিত্য শ্রদ্ধা না পেলেও পেলো আর্থিক দৃঢ়তা।
স্বর এর এই অপকর্ম ঘটিত আর্থিক লাভ একদিন রাজ্যে উঠতি অ্যালিয়ান শাসকের পছন্দ হলো না। তারা শুদ্ধি চায়। অশ্লীলতা পরিহার চায়। উপায়? নতুন আইন। পারিবারিক তন্ত্রর বাহক হয়ে কেউ সাহিত্য চর্চা করতে পারবেনা।
তারা ভাবল এই আইনে সাপ ও মরবে লাঠিও ভাঙবেনা। চটি লেখা বন্ধ হবে। আর ভবিষ্যতে সাহিত্যিকের পুত্র সাহিত্যিক হয়ে অসাহিত্য চর্চা করার প্রয়াস পাবেনা। আগে যা হয়ে গেছে গেছে। উপন্দ্র এর পরে তাদের সব পারিবারিক সাহিত্য গুলো ব্যান করার ব্যবস্থা করার চিন্তাও তারা করতে লাগল।
যেদিন এই খবর বার হলো দেখা গেলো গোপনে বাবা সাহিত্য চর্চা করত এবং ছেলেও প্রকৃত অর্থে তাই করে এমন অনেকেই বাবার সব সৃষ্টি নিমিষে ধ্বংস করে ফেলল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।