শিশু ইশতিয়াক জানে না, কী তার অপরাধ। কেন তার দুই হাতের রক্তনালি ও গলা কেটে ফেলা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডেমরার কোনাপাড়ার চিশতিয়া রোডে নিজ বাড়িতে মায়ের সঙ্গে শুয়ে থাকা অবস্থায় ইশতিয়াকের এ ঘটনা ঘটে।
কারা, কেন ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, জানেন না বলে শিশুটির মা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজ বেলা আড়াইটার দিকে ২১ চিশতিয়া রোডের বাসা থেকে ইশতিয়াককে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় তার জ্ঞান ছিল না। অক্সিজেন দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়। হাসপাতালের অস্ত্রোপচারকক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার জ্ঞান ফিরে আসে।
এরপর তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শিশু ইশতিয়াকের মা পারভীন আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, বেলা পৌনে দুইটার দিকে তিনি বাসার সামনের কক্ষে শুয়ে পড়েন। শিশু ইশতিয়াক (৪ বছর ৬ মাস) ছিল বাসার ভেতরের আরেকটি কক্ষে। একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ চিৎকার শুনে জেগে দেখেন, ইশতিয়াক একটি কাঁথায় মোড়ানো।
শরীর থেকে কাঁথা সরিয়ে দেখা যায়, ইশতিয়াকের দুই হাত দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ছে এবং গলাও কাটা। তাঁর স্বামী ও অন্য দুই সন্তান বাসার বাইরে ছিল। পরে তাঁর ভাড়াটে আমির হোসেনের সহায়তায় তিনি ইশতিয়াককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়ার সময় শিশু ইশতিয়াক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুধু জানায়, ‘ভাইয়া কেটে দিছে। ’
ইশতিয়াকের বাবা শাহ আলম ঠিকাদার ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
তিনি জানান, ঠিকদারি ও রাজনীতির কাজে তিনি মাসের বেশির ভাগ সময় গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে থাকেন। খবর পেয়ে বিকেলে তিনি ঢাকায় এসেছেন। কারা, কেন ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।
আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী আবুল আজাদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, শিশুটির বাঁ হাতের কবজির রক্তনালি ও ধমনি কেটে গেছে। তার ডান হাতের রক্তনালি কেটে গেছে।
তবে গলা কেটে গেলেও আঘাত গুরুতর নয়। তিনি বলেন, হাসপাতালে আসার পর শিশুটিকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া রক্তনালি ও ধমনি জোড়া লাগানো হয়েছে। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটি প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।