জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পেতে তোড়জোর চলছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যেই জিএসপি পুনর্বহালের চেষ্টা করছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিএসপি নিয়ে অগ্রগতির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েছেন। তার জন্য একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করছে মন্ত্রণালয়। অগ্রগতি পর্যালোচনায় বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বৈঠকও ডেকেছেন। এতে শ্রম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ ১৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ উন্নয়নের শর্ত দিয়ে গত ২৪ জুন জিএসপি স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও দেন। পরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইউনাইটেড স্টেট অব ট্রেড অর্গানাইজেশন রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) কাছে বেশ কিছু অঙ্গীকার করে বাংলাদেশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সেসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কেই মূলত জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রমতে, মহাজোট সরকারের মেয়াদ রয়েছে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই জিএসপি সুবিধার পুনর্বহাল চায় সরকার। স্থগিতের ছয় মাস পর তা পর্যালোচনার কথা জানিয়েছিল মার্কিন সরকার। সে হিসেবে জানুয়ারিতে ছয় মাস পূর্ণ হবে। এ সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ট্রেড এ্যান্ড ইনভেস্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্টেরও (টিকফা) প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'জিএসপি সুবিধা স্থগিতের পর সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। কারখানা পরিদর্শকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। শ্রম আইনের সংশোধনী পাস করা হয়েছে। এছাড়া আরো অনেক বিষয়ের অগ্রগতি রয়েছে। মূলত এসব বিষয়েই প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।'
সূত্র জানায়, জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, আইএলও ও ইউএসটিআরের সঙ্গে কতগুলো অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সংশোধিত শ্রম আইন-২০১৩ এর বাস্তবায়ন, কারখানা পরিদর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি, শ্রমিকদের ধর্মঘট করার অনুমতি উল্লেখযোগ্য। আরও আছে কারখানার কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, অগি্ন নির্বাপন ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যায় প্রধান আসামী মুস্তাফিজকে গ্রেফতারের জন্য পুরস্কার ঘোষণা ছাড়াও মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাবুল আক্তার ও কল্পনা আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।