স্প্যানিশ ফুটবল রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার গৌরব গাঁথার মধ্য দিয়েই পথ চলছিল। চারটি দশক তার বিশ্ব ফুটবলে পরিচিতি পেয়েছে এ দুটি ক্লাবের মাধ্যমেই। জাতীয় ফুটবলে স্প্যানিয়ার্ডদের অর্জন বলতে ১৯৬৪ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। এই শিরোপা জয়ের চার দশক পূর্তিতেই স্প্যানিশ আর্মাডার দায়িত্ব নিয়েছিলেন লুইস আরাগনস। পরের ইতিহাসটা তো সবারই জানা। ৪৪ বছর পর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের গৌরব অর্জন করেছিল স্প্যানিশরা। ২০০৮ সালে জার্মানিকে হারিয়ে যে বিজয় মিছিল বের করেছিল স্পেন, ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ হয়ে সে বিজয় মিছিল পেঁৗছেছিল ২০১২ সালে ইউক্রেন-পোল্যান্ডের মাটিতেও। কোচ দেল বস্কের দলটাতো লুইস আরাগনসেরই গড়ে তোলা! জাভি, ইনিয়েস্তা, পুয়ল, ফ্যাব্রিগাস, পিকে, ক্যাসিয়াসরা তো প্রথমে আরাগনসেরই শিষ্য। কেবল জাভি-ইনিয়েস্তাদের জন্যই নয়, পুরো ফুটবল দুনিয়ার জন্যই দুঃসংবাদ। স্প্যানিশ আর্মাডাকে বিজয়ের পথে পরিচালিত করা লুইস আরাগনস ৭৫ বছর বয়সে পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে। গতকাল মাদ্রিদের একটি ক্লিনিকে লুইস আরাগনস মৃত্যুবরণ করেন। তার চিকিৎসক পেদ্রো গুইলেন বিষয়টি মিডিয়াকে নিশ্চিত করেন। লুইস আরাগনস একজন স্ট্রাইকার হিসেবে স্প্যানিশ দলে ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ১১টি। গোল করেছেন তিনটি। তবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জন্য তিনি কিংবদন্তির মতোই। ১৯৬৪-৭৪ সালে তিনি অ্যাটলেটিকোতে ৩৭২ ম্যাচ খেলে ১৭২ গোল করেছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।