আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা।
বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল নির্বিকার একটা ভঙ্গি আছে রাতের নিরবতায়,
অরুন্ধতী যখন অব্যাক্ত প্রশ্ন গুলো ঘিরে ধরে-
লুব্ধক অ তখন লজ্জায় মুখ লুকায়।
নক্ষত্র খসে পরে আবার জোনাকিরা আলো ছড়ায়।
গল্পটা অমাবস্যার তাই চাঁদের উপস্থিতি এখানে অমুলক।
তিমির রাত আছে এখানে, আছে আপাত দৃষ্টিতে অপেক্ষার প্রহর,
আদ্রিয়মান সুখী কারো স্পর্শ পাওয়ার আছে তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
ব্যগ্র মন প্রস্তুত একাত্মতায় শূন্যের পূজায়,
চাতকের দৃষ্টিতে আছে চঞ্চল দিশেহারা ভাব,
আগুন শুধু পুড়েই যাচ্ছে ছড়াচ্ছে না উত্তাপ।
কবোষ্ণ শরীর জেন অনুভূতিহীন পাথর,
মাংসল পেশী জন্ম দিচ্ছে দুষ্প্রাপ্য ক্ষুধাবোধ।
শরীর শুধু জানে শরীরের ক্ষুধা।
মন জানে শুধু রাতের নির্লিপ্ততা।
কশেরুকা ভেঙ্গে তৈরি হয়েছে সেতু,
অমসৃণ পথ জুড়ে স্মৃতির কাঁটাতার।
বিমূর্ত রাতের অস্থিরতায় কিছু অধিকার আছে,
আছে হার না মানা কুটিল অভিলাষ।
কেউ কথা দিয়ে এখন মেতেছে শরীর নিয়ে খেলায়,
সংসার নামক গোলক ধাঁধায় জগজ্জয়ী হুংকার দেয়।
কান্তারে বসে কাপুরুষ শুধু বিধাতার কাছে মুখ লুকোয়,
অন্ধকার কে পথ্য ভেবে রাতের সাথে মিশিয়ে খায়।
চলাচলে আছে নিষেধাজ্ঞা, চন্দ্র দর্শনে চাই শুদ্ধি,
কাপুরুষ তাই সব ভুলে রাত কে করেছে সঙ্গি।
ন্যায়শান্ত্র মুক্তির পথে মিথ্যা স্বপ্ন দিয়ে যায়,
তামামি হয় না নিরবতার , অপেক্ষার কাব্য মৌনতা হয়ে রয়।
কুণ্ড হয় মঙ্গলা পথ, জাগরনের সাথে সন্ধি,
সতর্ক চোখে প্রতীত নির্লিপ্ত রাতের দীপ্তি। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।