গত এক মাসে দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের বাজার সামলাতে রাষ্ট্রায়াত্ত টিসিবির মাধ্যমে আমদানির পর এবার ঋণে সুদের হার বেঁধে দেয়ার এই পদক্ষেপ নেয়া হল।
ব্যবসায়ী বলছেন, পেঁয়াজ আমদানিতে ১০০ শতাংশ মার্জিন রাখছে ব্যাংকগুলো। আর এক্ষেত্রে আমদানি অর্থায়নে সুদ হার নিচ্ছে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ। ফলে নিরুৎসাহিত হয়ে অনেকে পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা কমিয়ে দিয়েছেন।
গত মাসে ঈদুল ফিতরের পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৩৫-৪০ টাকা থেকে বাড়তে শুরু করে।
এখন বাজারে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকার মধ্যে।
কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্য টিসিবির মাধ্যমে আমদানি করে শহরে খোলা বাজারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোমবার নেয়া পদক্ষেপে পেঁয়াজ আমদানির অর্থায়নে সুদের হার সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ নির্দিষ্ট করে একটি নির্দেশা দিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশনা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানি অর্থায়নের সুদ হার কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের জন্য রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গভর্নরকে চিঠি দেয়।
এরপর এই সিদ্ধান্ত হল।
আমদানি সহজ করতে ঋণ মার্জিন অনুপাত ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে নির্ধারণ করতেও বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০১১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিতে ব্যাংক ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ বেঁধে দেয়। পরের বছরের জানুয়ারিতে সুদের সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।