বিএনএফ প্রতিষ্ঠাকালে যুক্ত থাকা নাজমুল হুদার সংবাদ সম্মেলনের পর সোমবার এক প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা বলেন তিনি।
‘আমি তাকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছিলাম’- নাজমুল হুদার বক্তব্যের জবাবে আবুল কালাম বলেন, “আমি তাকে মনোনীত করেছিলাম, আমি তাকে বহিষ্কার করেছি। ”
“বিএনএফ-এর দোহার, ঢাকা জেলা, কেন্দ্রীয় ও জাতীয় কমিটির কোথাও নাজমুল হুদার নাম নেই। দলের কোথাও তার নাম না থাকায় নির্বাচন কমিশনের আবেদনেও তার ভূমিকা নেই। ”
নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানানো বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট- বিএনএফ আত্মপ্রকাশের সময় এর আহ্বায়ক ছিলেন এক সময়ের বিএনপি নেতা নাজমুল হুদা।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নাজমুল হুদা পরে নবগঠিত এই দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। সোমবার তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলটিকে ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণা করে বলেন, তিনি এই দলটিকে নিবন্ধন না দিতে ইসিতে আবেদন জানাবেন।
বিএনএফের নিবন্ধনের আবেদনে নিজের সম্পৃক্ততা থাকার দাবি নাজমুল হুদা করলেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাছাই কমিটির এক সদস্যও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএনএফের আবেদনে নাজমুল হুদার কোনো নাম নেই।
বিএনপির দাবি, বিএনএফের প্রতীক ও পতাকা তাদের দলের প্রায় অনুরূপ।
বিএনপিকে বেদায়দার ফেলতে নতুন এই দলটি সৃষ্টি করে এখন নিবন্ধন দেয়ার পাঁয়তারা চলছে।
দলটিকে নিবন্ধন না দিতে ইসিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের হুঁশিয়ারির পর দলটি ‘বিলুপ্তির’ ঘোষণা দেন নাজমুল হুদা।
বিএনএফের প্রধান সমন্বয়ক আজাদ জানান, ২০১১ সালের ৭ নভেম্বর বিএনএফের আত্মপ্রকাশের পর ২০১২ সালের ১০ অগাস্ট নাজমুল হুদাকে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক করা হয়।
“পরবর্তীতে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে তিন অপরাধে এ বছর ১১ ফেব্রুয়ারিতে তাকে [নাজমুল হুদা] বহিষ্কার করি। ”
নাজমুল হুদার সমালোচনা করে আজাদ বলেন, “বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে সুস্থ মস্তিস্কের কোনো কর্মকাণ্ড তিনি করছেন না।
বরং নতুন দলের নিবন্ধনকে ব্যাহত করতেই বিএনএফ বিরোধীদের মদদ দিচ্ছেন। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।