শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কোচিংয়ের বাণিজ্য বন্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তৈরি করেছেন নীতিমালা। কিন্তু সব কিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সারা দেশে চলছে জমজমাট কোচিং ব্যবসা। আর চট্টগ্রামে সরকারি বিদ্যালয়ে অুনষ্ঠিত হলো কোচিং সেন্টারের পরীক্ষা। কোচিং বাণিজ্যে তৎপর একটি কোচিং সেন্টারের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে। গতকাল সকালে ইউসিসি (বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং সেন্টার) কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই শ্রেণীকক্ষ ব্যবহার করে বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২-এর ৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান প্রয়োজনীয় প্রচারণা ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।' নীতিমালায় কোচিং বাণিজ্যে নিরুৎসাহিত করতে প্রধান শিক্ষককে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা বলা হলেও এক্ষেত্রে স্বয়ং প্রধান শিক্ষক কোচিং সেন্টারকে প্রকাশ্যে অনুমতি দেওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তার ভূমিকা।
গতকাল সকাল ৮টা থেকে নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ ব্যবহার করে ইউসিসি কোচিং। কোচিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইউসিসির পরিচালক আবদুর রব সোহেল বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়েই আমরা শিক্ষার্থীদের মডেল টেস্টের আয়োজন করি। প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাশ বলেন, টাকার বিনিময়ে শ্রেণীকক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দিইনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।