ঘড়ির কাঁটায় তখন ১টা। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বেশ কয়েকজন ক্রিকেট সংগঠক ও কাউন্সিলরদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) টাওয়ারের পঞ্চম তলায়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ঠিক আগে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে ফোন করে আশীর্বাদ নেন। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মনোনয়নপত্র জমা দেন ক্যাটাগরি 'সি'তে। সুজনের পরপরই জমা দেন ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। দুপুর ৩টায় জমা দেন সাবেক অধিনায়ক লিপু। এই ক্যাটাগরিতে কাউন্সিলর সংখ্যা ৪৫। কিন্তু বরিশাল শিক্ষা বোর্ড জমা না দেওয়ায় ভোটার সংখ্যা এখন ৪৪। ১০ অক্টোবর নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ৪৩ জন। কেননা এনএসসি কোটার ১০ ক্রিকেটারের একজন রকিবুল হাসান হজ্ব করতে এখন সৌদি আরবে। তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও নির্বাচন হবে মূলত দুই সাবেক অধিনায়ক সুজন ও লিপুর মধ্যে। তবে এই ক্যাটাগরিতে নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি।
এবারই প্রথম পরিচালক পদে নির্বাচন করছেন সুজন। অবশ্য বিসিবির বর্তমান অ্যাডহক কমিটির পরিচালক ছিলেন তিনি। কিন্তু দুই মাসের মধ্যেই পদত্যাগ করে ফিরে আসেন কোচিংয়ে। এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, 'আমি একজন পেশাদার কোচ। অ্যাডহক কমিটির পরিচালক থাকার সময় কোচিং করানো নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল আমাকে। আমি বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পদত্যাগ করি তখন। এখন যেহেতু আমি বিপিএলে কোচিং করাব না, তাই পরিচালক পদে নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই।' ক্রিকেট বোর্ডে পরিচালক পদে নির্বাচন করছেন ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য, 'আমি একজন ক্রিকেটার। আমি ক্রিকেটকে ভালোবাসি মনেপ্রাণে। ক্রিকেটের উন্নয়নই আমার লক্ষ্য। ক্রিকেটের উন্নয়নে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকতে হবে। তাই পরিচালক পদে নির্বাচন করতে চাইছি।' কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়ে আক্রমণ করেন অ্যাডহক কমিটির পরিচালক লিপুকে, 'তিনি একজন ক্রিকেটার। গত বার বিসিবির নির্বাচনে পরিচালক হয়েছিলেন ক্রিকেটারদের ভোটে। কিন্তু বিসিবিতে থাকাকালীন তিনি ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবকে অস্বীকার করেন। এ ছাড়া আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলা বন্ধ করে দেন।' কোয়াব সাধারণ সম্পাদকের সরাসরি আক্রমণকে লিপু ডিফেন্ড করেন জোরালোভাবে, 'আমি কোন অবস্থায়, কখন, কীভাবে কোয়াবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি, সেটা বুঝতে হবে। এটাও সবাইকে মনে রাখতে হবে যিনি গঠনতন্ত্র থেকে কোয়াব ও ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেছিলেন কারা। এটা কোন ধরনের কার্যক্রম। আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে চাইনা। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সবাইকে সাধুবাদ জানাই। আমি ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্যই কাজ করতে চাই।'
সাবের হোসেন চৌধুরী ও তার সমর্থকেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় মনে হয়েছিল, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন সব পরিচালক। কিন্তু ক্যাটাগরি 'সি'তে দুই অধিনায়কসহ তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এখন পুরোপুরি জমে উঠেছে নির্বাচন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।