মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহারকে পবিত্র কোরআন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, 'তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত কর না এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। (সূরা বনি ইসরাইল : ২৩)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক হাদিসে বাবা-মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার বা সম্মান প্রদর্শনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু হুরাইয়া (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আমার উত্তম ব্যবহার পাওয়ার সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি কে? তিনি বললেন_ তোমার মা। তারপর কে? তিনি বললেন তোমার মা। তারপর কে? তিনি বললেন_ তোমার মা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন তারপর কে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তোমার পিতা। (বুখারি শরিফ)
উপরোক্ত হাদিসে সন্তানের জন্য মায়ের অতুলনীয় ত্যাগ ও দুঃখ-কষ্ট এবং অবদান রাখাকে স্বীকৃতি দিয়ে সন্তানের শ্রদ্ধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তার হককে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। যে কারণে বান্দার কর্তব্য হলো স্রষ্টার ইবাদতকে প্রাধান্য দেওয়া। কিন্তু একই সঙ্গে বাবা-মায়ের প্রতিও আনুগত্য দেখাতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসেও এ বিষয়ের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইবনে মাসউদ (রা.) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি। তিনি বললেন, সময়মতো সালাত আদায় করা। তিনি বললেন তারপর কোনটি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পিতামাতার আনুগত্য করা। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন তারপর কোনটি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা (বুখারি)। বুখারি শরিফের আরেক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সবচেয়ে বড় গুনাহ হলো আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা এবং বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়া।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বাবা-মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার ও তাদের হক আদায়ের তওফিক দান করুন।
লেখক : ইসলামী গবেষক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।