কূটনীতিকদের দৌড়াদৌড়ি, ফোনাফোনি, খুনাখুনি, অতঃপর দায় কার? বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের রক্তক্ষয়ী হরতালে ১৮টি তাজা প্রাণ ও ব্যাপক জানমালের ক্ষতিসাধনের পর এবার টানা তিন দিনের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে! টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালে ১৮ জনের প্রাণহানিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতির বিপর্যয় এবং 'লাল সন্ত্রাসের' ছড়িয়ে দেওয়া আতঙ্ক রুখে দেওয়া যেত। বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সরকারের নানা নাটকীয়তার পর পাওয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ থেকে বলেছিলেন, আজকালের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করুন। উদ্যোগ নেওয়া না হলে আলটিমেটাম দিয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দুই পক্ষের সমঝোতার দুয়ার খুলতে পর্দার ভেতরে-বাইরে কূটনীতিকদের দৌড়াদৌড়ি আরও গতি পেয়েছিল। সিভিল সোসাইটি থেকে গোটা দেশবাসী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করুন। অবশেষে শনিবার দুপুর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোনে পেতে চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিট থেকে টানা ৩৭ মিনিট দুই নেত্রীর বহুল প্রত্যাশিত টেলিকথোপকথন হয়। শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে হরতাল প্রত্যাহার করে সোমবার রাতে নৈশভোজে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান খালেদা জিয়াকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-উত্তরকাল থেকে আজ পর্যন্ত ৪২ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার ও বিরোধী দলের নেতার এই পূর্ণদৈর্ঘ্য টেলিফোন সংলাপ গোটা দেশবাসীর প্রবল আগ্রহ ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা নিয়েছে। কূটনৈতিক মহলের আগ্রহ কম ছিল না।
দুই নেত্রী কী কথা বলেছেন তা বেসরকারি টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে গোটা দেশবাসী মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং পাঠ করেছেন। বরাবর তির্যক বাক্যবাণের কারণে সমালোচকরা যাকে ক্ষতবিক্ষত করতেন সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন টেলিফোন সংলাপে ছিলেন শান্ত, ধীরস্থির, এককথায় ঠাণ্ডা মেজাজে। অপরপ্রান্তে বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়ার কথায় ছিল অধিক মাত্রায় ঝাঁজ। সরকার বা সরকারের কর্মকাণ্ডবিরোধী জ্বালা-যন্ত্রণার প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী সেদিন তার স্বভাবসুলভ বাচনভঙ্গি থেকে সরে গিয়ে অত্যন্ত ধীরলয়ে ভেঙে ভেঙে সুইট সুইট কথা বলার চেষ্টা করেছেন। তিনি যত রয়েসয়ে কথা বলেছেন, বিরোধী দলের নেতা ততই আক্রমণাত্দক হয়েছেন। সেদিন বাকপটু কৌশলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্ত মেজাজ ও বাচনভঙ্গির বিপরীতে বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া তার কম কথা বলার ইমেজ থেকে বেরিয়ে যেভাবে আক্রমণাত্দক হয়ে উঠেছিলেন তাতে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। এটি যদি একটি টেলিফোন বিতর্ক হতো আর সঙ্গে থাকতেন বিচারকমণ্ডলী, তবে জানা যেত কার পারফরমেন্স কী। হয়তো তখন কেউ কেউ জানলেও বিরোধী দলের নেতা বুঝতে পারেননি অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এই পূর্ণাঙ্গ কথোপকথন জনসম্মুখে উন্মোচিত হবে। স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সুবাদে আমাদের গণতন্ত্রের দুই মহান নেত্রীর একে অন্যের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোন ভাষায়, কোন তাল-লয়-কণ্ঠে কথা বলেন তা দেশবাসী গভীর আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেছেন। এই টেলিফোন সংলাপ পূর্ণাঙ্গ প্রচারের পর যার যার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সুশীলেরা যার যার নেত্রী ও দলের পক্ষে কোরাস করেছেন যুক্তি তুলে ধরে। কিন্তু এটি প্রকাশের পর এ নিয়ে বিতর্কও হচ্ছে কম নয়। এটি প্রকাশ আইনগতভাবে কতটা গর্হিত অন্যায় তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন কোনো কোনো বরেণ্য আইনজীবী। ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনোই মিডিয়া স্বীকৃত প্রহসন 'অব দ্য রেকর্ড'ই মানি না। সত্য হলেই তা পাঠকের সম্পদ বলে মনে করি। খবর বলেই জেনে আসছি। আমার 'অব দ্য রেকর্ড' বইয়ে সেটি বলেছি বহু আগেই। একুশ শতকের মিডিয়ায় কোনো সত্যই আড়াল করার সুযোগ নেই। বিভিন্ন সময় যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা তাদের সুবিধা অনুযায়ী অনেক সত্য যেমন প্রকাশ করেন তেমনই অনেক কিছু গোপন করারও চেষ্টা করেন। মিডিয়ার কাজই হলো সেই গোপন সত্যকে উন্মোচন করা। এ ক্ষেত্রে দুই নেত্রীর টেলিফোন সংলাপ ঘিরে মানুষের জানার আগ্রহ ছিল প্রবল। নানা সূত্র সহজ করে দেওয়ার সুবাদে গণমাধ্যম তা দেশবাসীর সামনে একযোগে প্রকাশ করার সুযোগটি হাতছাড়া করেনি।
দুই নেত্রীর টেলিফোন সংলাপে বেগম খালেদা জিয়া তার বাসভবনের রেড টেলিফোন বিকল থেকে নানা ইস্যুতে কখনো সখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধমকের সুরে কথা বলতেও ছাড়েননি। আর আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী অসীম ধৈর্য নিয়ে সেই মেজাজ সয়ে গেছেন। অনেকে বলেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই এখানে। সরকারকে পরমতসহিষ্ণু হতে হয়। বিরোধী দলের ক্ষোভ, অভিযোগ শুনতে হয়। শোনার পরীক্ষায় শেখ হাসিনা কতটা জিতেছেন আর বলার পরীক্ষায় বিরোধী দলের নেতা কতটা কিস্তিমাত করেছেন তা আমজনতাই বিচার করবেন। রাজনীতি ও গণতন্ত্রে বিচারের ক্ষমতা জনগণের। তবে জাতির বেদনাবিধুর জাতীয় শোকদিবস ১৫ আগস্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কেক কাটার বিষয়টি আনেন তখন বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া পরিষ্কার বলেছেন, '১৫ আগস্ট আমার জন্মদিন, আমি কেক কাটবই।' এ কথা যারা শুনেছেন টিভির সুবাদে, যারা আওয়ামী লীগ করেন না কিন্তু হৃদয় অনুভূতি দিয়ে বাঙালির মহত্তম নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় হৃদয় মননে লালন করেন, যারা সেই ১৫ আগস্টের কালো রাতের বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আজীবন ঘৃণা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন তাদের হৃদয়ে যেন বিষের ফলা বেঁধেছে। এমনকি বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে একুশের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাকে 'আপনারাই করেছেন' বলে বিরোধী দলের নেতা বক্তব্য রেখেছেন, তখন দুই বারের প্রধানমন্ত্রী ও আজকের বিরোধী দলের নেতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষ বিস্মিত হয়েছে, লজ্জিত হয়েছে, এমনকি ব্যথিতও। বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে ভুললে চলবে না তিনি গণতন্ত্রের লড়াই থেকে উঠে এসেছেন। সংসদীয় গণতন্ত্রের নবযাত্রালগ্নে গণমানুষের ভোটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। এ ধরনের অমানবিক বিবেচনাহীন মন্তব্য কাম্য নয়। এই ধরনের বক্তব্যে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ আর '৭১-এর অভিশপ্ত রগকাটা জামায়াত-শিবির আনন্দিত হলেও সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীও হতাশ হবেন।
দুই নেত্রীর টেলিসংলাপের পর রাজনীতিতে নানা পক্ষই যার যার মতো কথা বলছেন। অনেকে এ সুযোগে পরিস্থিতি ঘোলাটেও করে দিতে চাচ্ছেন। কথা হচ্ছে, সেই দিন প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত কবুল করে বিরোধী দলের নেতা যদি ৬০ ঘণ্টার হরতাল প্রত্যাহার করতেন তা হলে ১৮টি মানুষের প্রাণহানি ঘটত না। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের দুয়ার খুলেই দিয়েছিলেন সেখানে মানুষের প্রাণহানি, সম্পদহানির বিনিময়ে ৬০ ঘণ্টার হরতাল গণতান্ত্রিক রাজনীতির দুই চাকার এক চাকা বিএনপিকে কী দিয়েছে তা তাদের নেতৃত্বকে ভাবতেই হবে। এই কর্মসূচি ঘিরে আগেভাগেই দেশের সুপ্রিমকোর্টের ন্যায় বিচারক থেকে শুরু করে মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা এবং গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ গণমাধ্যমের ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার আন্দোলনের কর্মসূচির সুযোগে জামায়াত-শিবির উগ্রমূর্তি নিয়ে সারা দেশে আতঙ্ক ছড়ানো গুপ্ত বোমা হামলার পথ বেছে নিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকাল থেকে যত উগ্রপন্থি রাজনৈতিক শক্তি এই পথ বেছে নিয়েছিল তাদের অনেকেই দেউলিয়া, অনেকেই বিলুপ্ত। গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে উগ্র হঠকারিতা পায়ে পায়ে হাঁটতে পারে না। এ দেশের মানুষ যতটা গণতন্ত্রপ্রিয় ততটাই উগ্র, হঠকারিতা ও সন্ত্রাসবিরোধী। বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া টেলিসংলাপে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, হরতাল প্রত্যাহারে ১৮ দলের নেতাদের সঙ্গে বসতে হবে। আলটিমেটাম দেওয়া কর্মসূচি প্রত্যাহারে সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রধান বিরোধী দলের নেতাকে সন্ত্রাসের পথে থাকা জামায়াতের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেন? জামায়াতের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করে হরতাল প্রত্যাহার না করায় যে সহিংসতা ঘটেছে, যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এসেছে, মানুষের যে প্রাণহানি ঘটেছে তার দায় আজ কে নেবে? এই দায় কার? যদি প্রধানমন্ত্রী আলোচনার অনুরোধ জানিয়ে টেলিফোন না করতেন তা হলে হরতালে হরতালে দেশ অচল করে দিতেন। টেলিফোনে যদি বিরোধী দলের নেতা এত তির্যক বাক্যবাণে ধমকের সুরে ৩৭ মিনিটের ২৫ মিনিটই যদি প্রধানমন্ত্রীকে কথা শোনাতে পারেন তা হলে যত দাবি-দাওয়া ছিল গভীর রাত পর্যন্ত গণভবনের নৈশভোজ থেকে চা পান করতে করতে প্রধানমন্ত্রীকে শোনাতে পারতেন। এতে আর যাই হোক সারা দেশে এই লাল সন্ত্রাস আতঙ্ক ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটত না। ৬০ ঘণ্টার টানা হরতালের শেষ দিন জুরাইনে হরতাল সমর্থকদের ককটেলের আঘাতে ছোট্ট শিশু রহিমার একটি চোখসহ শরীরের একাংশ ঝলসে গেছে। দুই নয়নে যে শিশু পৃথিবীর আলো দেখতে দেখতে বেড়ে ওঠার কথা ছিল, খেলাধুলায় আনন্দ অবগাহন করার কথা ছিল সে জানল এই রাজনীতি কত নির্মম, নির্দয়। এ মেয়েটি যদি আমার হতো, এ শিশুটি যদি আপনার হতো এভাবে রাজনীতিবিদরা, বিরোধী দলের নেতারা একটি মুহূর্ত একান্ত চিত্তে ভাবছেন কি? দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাওয়া ভাঙ্গারির দোকানি সোবহান মোল্লার দুপুরের খাবার নিয়ে যাচ্ছিল শিশু রহিমা। আহারে! বাবার কাছে খাবার পেঁৗছে দেওয়া দূরে থাক, ককটেলের আঘাতে লুটিয়ে পড়ে রহিমা। কন্যার আর্তচিৎকারে দোকান থেকে ছুটে আসে সোবহান মোল্লা। স্তম্ভিত হয়ে যায় মেয়ের অবস্থা দেখে। তারপর তার আহাজারি। 'আমি গরিব মানুষ, আমি তো রাজনীতি করি না, আমার মেয়েটা অবুঝ। কী তার দোষ? কী তার অপরাধ?' কী উত্তর দেবেন আজ রাজনীতিবিদরা? হরতালকারী বিরোধী দল? এ রাজনীতি কি গণমানুষের কল্যাণের? যে রাজনীতিতে গুলিতে পাখির মতো মানুষ মরে? যে রাজনীতিতে জবাই করে মানুষ হত্যা হয়? প্রতিহিংসার আগুন জ্বলে? এই দায় কে নেবে আজ? রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই আবার অবরোধের ডাক আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে যাই বলুক আপনি আপনার গণভবনের নৈশভোজের দাওয়াতের দরজা খোলা রাখুন। মাননীয় বিরোধী দলের নেতা, অতঃপর আরও রক্ত ঝরার আগে গণভবনের নৈশভোজে যোগ দিয়ে আপনার দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। দলের যে সব নেতা বা জোটের যে সব শরিক বাহবা দিচ্ছেন টেলিফোনে অনেক শক্ত কথা শুনিয়ে দিয়েছেন বলে, তাদের উসকানিতে পা দেবেন না। আমাদের সন্তানদের চোখ অনেক খুলে গেছে। সামনের ভোটযুদ্ধে অনেক নতুন ভোটারের হাতে ব্যালট পেপার উঠতে যাচ্ছে। জামায়াতের কলঙ্কের ঢোল গলা থেকে নামিয়ে আপনার অন্তরাত্দা যা বলে তাই করুন। সমঝোতায় আসুন। জোয়ার-ভাটার রাজনীতির এই দেশে জনসমর্থন আসতেও বেশি সময় লাগে না, যেতেও বেশি সময় লাগে না। আর মহাদুর্যোগকালে কাউকে পাশেও পাওয়া যায় না। সব অভিজ্ঞতাই আপনার রয়েছে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে নিজে টেলিফোন করে তার দাওয়াতে কখন যাবেন জানিয়ে দিন। এখানে ছোট-বড় হওয়ার কিছু নেই। এখানে হার-জিতের কিছু নেই। গণতন্ত্রে সংলাপের বিকল্প সংঘাত হতে পারে না। সংঘাতের পরিণতি করুণ ও ভয়াবহ। সিভিল সোসাইটিরও দুই পক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য পক্ষপাতমুক্ত হয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার এখনই সময়। এই দেশ লাখো লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত। এই গণতন্ত্র শত শহীদের রক্তে অর্জিত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।