সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের খেলা দেখতে নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্মাদনার শেষ নেই। পুরো নারায়ণগঞ্জ এখন ক্রিকেট-জ্বরে আক্রান্ত। একটি টিকিটের জন্য শুক্রবার রাত থেকে ফুটপাতে কাটাচ্ছেন জেলার শত শত যুবক। লাল-সবুজের পতাকা মাথায় বেঁধে দেশের পক্ষে শুক্রবার রাত থেকেই স্লোগান দেন তারা। সকাল হতেই গতকাল টিকিট সংগ্রহের লাইন বিস্তৃত হয় হাজার হাজার মানুষের ঢলে।
সরেজমিন দেখা যায়, শুক্রবার রাত থেকেই টিকিটপ্রাপ্তির আশায় শহরের চাষাঢ়া ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সামনে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন শতাধিক তরুণ ও যুবক। গতকাল সকালে টিকিট সংগ্রহের লাইনের মাথা ব্যাংকের সদর দরজা থেকে উত্তরে ২ নম্বর গেট ও দক্ষিণে চাষাঢ়ার মোড় পর্যন্ত চলে যায়। সকালেই টিকিট লাইনের আলাদা সারিতে যোগ হয় তরুণীদের সংযোজন। বিশাল এ লাইন সামাল দিতে সকাল থেকে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। কারণ শুক্রবারে টিকিট না পাওয়া তরুণ-যুবকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই সময় যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার হন নয়জন। তাই গতকাল টিকিট ক্রয়স্থলে নেওয়া হয় ব্যাপক পুলিশি নিরপাত্তা। সকাল ৯টা থেকে চাষাঢ়া ও টানবাজার শাখায় শুরু হয়ে টিকিট বিক্রি। দুপুর ১২টায় চাষাঢ়ায় গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রোদ উপেক্ষা করে টিকিটের লাইনে মাথায় লাল-সবুজের পতাকা বেঁধে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন তরুণ ও যুবকরা। লাইনের শৃঙ্খলা সামাল দিতে এদের ওপর বেশ কয়েক দফা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে কয়েক দফা। এ সময় পুলিশ সদস্যদের বুটের লাথিও খেতে হয় টিকিট সংগ্রহকারীদের। আড়াইহাজার উপজেলা থেকে আসা টিকিটপ্রত্যাশী বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র আনিসুর রহমান জানান, সকাল থেকে তিন দফা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পাইনি। পুলিশের তিন দফা ধাওয়ায় বার বার লাইন থেকে ছিটকে পড়েছেন তিনি। শুধু আনিস নন, তার মতো অনেকেই ধাওয়ার কারণে লাইন থেকে ছিটকে পড়েছেন। তবুও আশা ছাড়েননি। লাঠিচার্জ ও পুলিশের বুটের লাথি খেয়ে অনেক যুবক টিকিটযুদ্ধে সফল হয়ে সন্তুষ্টির হাসি হেসেছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।