অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
দূতাবাসের ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে দেশগুলো তাদের নাগরিকদের হরতালের সহিংসতা সম্পর্কে অবহিত করেছে এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের অনুরোধ জানিয়েছে।
১ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ দপ্তর দেশটির নাগরিকদের জন্য একটি বিবৃতি জারি করে। ওই বিবৃতিতে হরতালের আগের দিন সন্ধ্যায় জনবহুল এলাকাতেও সহিংস ঘটনা ঘটে থাকে বলে ব্রিটিশ নাগরিকদের জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সংঘটিত সহিংসতায় শতাধিক মানুষ মারা গেছে। এ ধরনের সহিংসতার ঘটনায় শহর এবং শহরের বাইরে ভ্রমণ ব্যাহত হতে পারে। বাংলাদেশে নিয়মিত হরতাল পালিত হচ্ছে। যেকোনো সময় এসব কর্মসূচি সহিংস হয়ে ওঠে। বাসে আগুন দেওয়া, সম্পদ ধ্বংস, রাস্তা-ঘাট অবরোধ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটে এসব হরতালে।
২৫ অক্টোবরের পর হরতালে ২০ জনের মৃত্যুর খবর নাগরিকদের জানিয়েছে দেশটি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ রোববার আওয়ামী লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আভাস না থাকলেও ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর তার নাগরিকদের সমাবেশ স্থল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
মার্কিন দূতাবাস হরতাল সম্পর্কে সতর্ক করেছে দেশটির পর্যটকদের। দেশটি এক বিবৃতিতে বলছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশও অনেক সময় সহিংস হয়ে উঠতে পারে। হরতালে ইটপাটকেল ছোড়া হয়, এমনকি স্বল্প ক্ষমতার বিস্ফোরকও ছোড়া হয়।
জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সমাবেশ থেকে দেশটির নাগরিকদের দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বাংলাদেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য কানাডা তাদের নাগরিকদের অধিকতর সতর্ক থাকার (হাই ডিগ্রি অব কশন) পরামর্শ দিয়েছে। আজ ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই সতর্কবার্তা জারি থাকবে। দেশটি বলেছে, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, দেশজুড়ে হরতাল ও সহিংস সংঘর্ষ চলছে এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
একই বার্তা দিয়েছে অস্ট্রেলীয় দূতাবাস। হরতালে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনে আক্রমণ করা হয় বলেও জানিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।