কাজের রেট ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১০ দফা আদায়ে আন্দোলন শুরু করেছেন গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা। গাজীপুর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করলে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে শ্রমিক ও যাত্রীসহ ২০ জন আহত হন।
পুলিশ ও আন্দোলনরত শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে ১০ দফা আদায়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে জেএল, ডিজাইন, গ্লোবাল মার্চেন্ট লিমিটেড, মেরিটেঙ্ ওয়ান, সোহান, মারলিভ, তিতাস সোয়েটার ও আসিফ সোয়েটার লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করতে থাকেন। একপর্যায়ে কোনাবাড়ী এলাকায় সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। তারা গাজীপুর-চন্দ্রা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, স্কুটার, লেগুনা, প্রাইভেট কারসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেন। শ্রমিকরা মহাসড়কের পাশের আবর্জনা ও টায়ার সড়কের ওপর রেখে অগি্নসংযোগ ও ইটপাটকেল ফেলে অবরোধ করেন। মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ১০ শ্রমিক। পরে বিব্ধুব্ধ শ্রমিকরা কোনাবাড়ীতে একটি লেগুনায় আগুন ধরিয়ে দেন এবং কিছু যানবাহন ও কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। কোনাবাড়ী হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম জানান, গাজীপুর জেলা ও শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের ভাঙচুর ও অবরোধে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। শ্রমিকদের ছোড়া ইটপাটকেলে যানবাহনের ভাঙা গ্লাসে কেটে গিয়ে পাঁচ যাত্রী আহত হন।
এর আগে সকালে গাজীপুর মহানগরীর নাওজোড় এলাকার ডটকম সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। শ্রমিকরা জানান, তাদের বৃহস্পতিবার অক্টোবরের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও বেতন না পেয়ে তারা কারখানায় ভাঙচুর চালান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।