পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বিডিআরের ১৫২ বিদ্রোহী সদস্যকে গত মঙ্গলবার ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। আদালত তাদের রায়ে ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২৬২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। পৌনে পাঁচ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার পর বিদ্রোহীরা তাদের লাশের ওপরও প্রতিহিংসা চরিতার্থের নজির রাখে। পিলখানা হত্যাকণ্ডের বিচারের মাধ্যমে আইনের শাসনেরই জয় হলো। বিডিআর বিদ্রোহের উন্মত্ত শিকার নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা এ রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, তারা ন্যায় বিচার পেয়েছেন। রায় দ্রুত কার্যকর করার আবেদন জানিয়েছেন তারা। পক্ষান্তরে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা বলেছেন, বিচারে তারা ন্যায় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে জাতির ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক ঘটনা। মহান মুক্তিযুদ্ধেও এত বেশি সেনা কর্মকর্তাকে প্রাণ দিতে হয়নি। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করাই ছিল হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতাদের উদ্দেশ্য। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় সাড়ে ৮০০ বিডিআর সদস্যের বিচার প্রক্রিয়া ছিল সত্যিকারভাবেই কঠিন কাজ। দেশের বিচার বিভাগ সেই কঠিন কাজটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। আমরা মনে করি, পিলখানা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আদালতের রায় ও পর্যবেক্ষণের নিরিখে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আরও ঢেলে সাজানো হবে। এ বাহিনীর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিদ্রোহের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শৃঙ্খলার দিকে নজর দেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।