হরতালসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ককটেল নিক্ষেপ, যানবাহনে হামলা, ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনায়ও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যাদের হাতে বই-কলম তুলে দেওয়া সবারই দায়িত্ব হওয়া উচিত, তাদের হাতে রাজনীতিকরা তুলে দিচ্ছেন চকলেট বোমা, ককটেল এমনকি পেট্রল বোমা। নষ্ট রাজনীতির শিকার হয়ে ইতোমধ্যে বেশ কিছু শিশু প্রাণ হারিয়েছে। আহতের সংখ্যাও কম নয়। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকহারে শিশুদের ব্যবহার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিপাকে ফেলছে। শিশুরা অবাধে সহিংস কর্মকাণ্ড চালালেও তাদের শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। অপরাধ সংঘটিত করে তারা সংকীর্ণ গলি দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। কখনো ধরা পড়লে নিজেদের শিক্ষার্থী, এতিমখানার শিশু, দোকান কর্মচারী ইত্যাদি পরিচয়ে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলের সদ্য সমাপ্ত তিন দিনের হরতালেও শিশুদের যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে থেকে বা নিরাপদ অবস্থানে থেকে শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছে ককটেল ও পেট্রল বোমা। শিশুদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ নজির স্থাপন করেছে ধর্মীয় সংগঠনগুলো। হেফাজতের মতিঝিল সমাবেশে কয়েক হাজার মাদ্রাসা শিশুকে নিয়ে আসা হয়। তাদের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার তাদের ভবিষ্যৎকে বিপজ্জনক করে তুলছে। বিশেষত যেসব পথশিশু টাকার বিনিময়ে ককটেল নিক্ষেপ ও যানবাহনে অগি্নসংযোগের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, তাদের জন্য অপরাধ জগতের দ্বার উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে নিজেদের অজান্তেই। এই অপরাজনীতি শিশুদের একাংশকে বিপজ্জনক ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের রক্ষার একমাত্র পথ হলো অপরাজনীতির পথ বন্ধ করা। আইন অনুযায়ী শিশুদের সহিংস কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। শিশুনীতি অনুযায়ী শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরও সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। যার অবসান হওয়া উচিত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।