চট্টগ্রামে মাদক ব্যবসা থামছেই না। পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লোকজন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে তাদের ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়ায় এই ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অথচ চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত শিশুসহ ত্রিপল মার্ডার ও হিমু হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা মাদকসেবীরা ঘটিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে ৫০০ স্পটে ৯০০ ব্যক্তি মাদক বিক্রি করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৬টি থানা এলাকায় ৩০০ স্পটে সাড়ে ৪০০ এবং জেলার ১৬টি থানায় ২৫০টি স্পটে মাদক বিক্রি করছেন ৫০০ ব্যক্তি। এদিকে চট্টগ্রামে গত ২৩ বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় ৪ হাজার ২৭৪টি মামলা করেছে। এর মধ্যে জেলায় ১৪টি উপজেলায় ১ হাজার ২৩টি ও নগরীতে ৩ হাজার ২৫১টি। তবে এসব মামলা বর্তমানে চট্টগ্রামের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য অধিদফতরে প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় বিভিন্ন অভিযানসহ কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে মাত্র ২০ ভাগ জব্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর বাকি ৮০ ভাগ উদ্ধারকারী প্রশাসনের লোকজন পুনরায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এতে নগরীর ও জেলার ঊধর্্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত রয়েছেন। চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মেট্টো উপ-অঞ্চলের পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, অভিযান পরিচালনা ও মামলা দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকের বিকিকিনি চলছেই। একসময় মাদকসেবীদের কাছে গাঁজা ও চোলাই মদের ব্যবহারের আধিক্য থাকলেও বর্তমানে ইয়াবার দিকে ঝুঁকছেন তারা। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লোকজন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে তাদের ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছেন। নগরীর বরিশাল কলোনি, রেলস্টেশন, রিয়াজুদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড, বার্মা কলোনি, টাইগারপাস, শেরশাহ কলোনি, বহদ্দারহাট, দেওয়ানহাটসহ প্রায় ৩০০ স্পটে বিক্রি হচ্ছে মাদক। বিক্রীত মাদকের মধ্যে চোলাই মদ আসে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে। উপজাতীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন স্থানীয়ভাবে চোলাই মদ তৈরি করে থাকে। এ ছাড়া ইয়াবা আসে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার এবং ফেনসিডিল ও কোকেন আসে অন্য দেশ থেকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।