এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়।
সংসদ সদস্য হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের একেবারে শেষ পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের এই সাংসদের সদস্যপদ অবৈধ ঘোষণা হলো।
সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জেনারেল সালাম যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
জামাল উদ্দিন নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীর দায়ের করা ওই রিটে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রুল দিয়েছিল হাই কোর্ট, যার চূড়ান্ত শুনানি শেষে এই রায় আসে।
আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি ছিলেন এম কামরুল হক সিদ্দিকী।
সংসদ সদস্য আব্দুল সালামের পক্ষে ছিলেন সৈয়দ মামুন মাহবুব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার শুনানি করেন।
সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, গত নির্বাচনের আগে আব্দুস সালামের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশন বাতিল করলেও হাই কোর্টের আদেশ নিয়ে তিনি নির্বাচন করেন এবং নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশনের আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আসা যায় কি-না, এই প্রশ্নে পরে এই রিট দায়ের করা হয়। আদালত রায় দিয়ে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করেছে।
“এটি একটি সিরিয়াস আইনগত প্রশ্ন। আমরা মনে করি, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আমরা যথাসম্ভব দ্রুত উচ্চতর আদালতে আপিল করব। ”
এই আইনজীবী বলেন, আদালত সংসদ সদস্যপদ বাতিল করলেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে না। রায়ের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে গেলে তখন নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার বলেন, আদালত দুই বিষয়ে রুল দিয়েছিল। কেন আব্দুস সালামের সংসদ সদস্যপদ বাতিল করা হবে না- জানতে চেয়ে যে রুল হয়েছিল, তারই চূড়ান্ত রায় এসেছে।
এছাড়া ৯০ দিনের মধ্যে ওই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- মর্মে জারি করা রুলের বিষয়ে কোন আদেশ আদালত দেয়নি।
২০০৮ সালের ৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ঋণ খেলাপির অভিযোগে আব্দুস সালামের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আব্দুস সালাম নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর তিনি রিট আবেদন করলে হাই কোর্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির আদেশ স্থগিত করে তার মনোনয়পত্র গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।