বেলা গড়ালেই মলিন আবছা অন্ধকার ঘনিয়ে আসে এখন। খুব তাড়াতাড়ি নেমে আসে সন্ধ্যা। আকাশে জমে ওঠে হালকা কুয়াশার স্তর। গা শিরশির করা হিমেল স্পর্শ বুলিয়ে দেয় মৃদু হাওয়া। এসবই জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী।
অগ্রহায়ণ মাসের প্রথমার্ধ প্রায় ফুরিয়ে এল। দেশের প্রান্তিক এলাকাগুলোতে, বিশেষত উত্তরাঞ্চলে এখন বেশ শীত। বরাবরই রাজধানীতে শীত আসে একটু দেরিতে। এখনো গরম কাপড়চোপড় দেখা যাচ্ছে না নগরবাসীর গায়ে। কোট-জাম্পার-চাদরের বাক্সবন্দী দশা ঘুচতে শুরু করেছে, তবে লেপ-কম্বলের আরও অন্তত সপ্তাহ দুয়েক আটক থাকতে হবে।
সাধারণত ডিসেম্বরের আধাআধি না যাওয়া পর্যন্ত ঢাকার শীত লোকজনকে লেপ মুড়ি দিতে বাধ্য করার মতো শক্তিমান হয়ে ওঠে না। আবার ফেব্রুয়ারি শুরু হতে না হতেই হাওয়া বদলের রেশ।
দাপুটে হোক বা দুর্বল, রাজধানীতে কিন্তু শীত নিয়ে রকমারি আয়োজনের কোনো ঘাটতি থাকে না। হেমন্তের শুরু থেকেই পাড়া-মহল্লা, বাজার, অফিস এলাকার ফুটপাত দিয়ে বসে গেছে পিঠা তৈরির দোকান। বিকেল থেকে ভাপা, চিতই, তেলের পিঠা বিক্রি হচ্ছে দেদার।
কাঁচাবাজারে শিম, মুলা, কপি, বরবটি, টমেটোসহ শীতের সবজিগুলো এসেছে শীত আসার আগেই। খেজুরের রস দুর্লভ, তবে চলে এসেছে নতুন পাটালি। রসনায় শীতের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে পুরোপুরি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও পড়েছে শীতের সাড়া। নানা ধরনের আয়োজনে উৎসবমুখর হয়ে উঠছে ঢাকার মঞ্চ-মিলনায়তনগুলো।
অগ্রহায়ণের পাকা ফসল কৃষিনির্ভর আমাদের জনজীবনে নিয়ে আসে সচ্ছলতা। শীতকালটি তাই আমাদের দেশে আনন্দময়, উৎসবমুখর হয়ে আছে আবহমানকাল থেকে। আবার উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে প্রচণ্ড শীতে দরিদ্র অসহায় মানুষের প্রাণহানিও ঘটে। আনন্দের গায়ে লেগে যায় বিষাদের দাগ। এসব আর্তজনের জন্য সহমর্মিতার হাতও বাড়িয়ে দেন বহু মানুষ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।