আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফরেস্ট গাম্প........১৯৯৪

প্রত্যেক নাস্তিক ও তার নিজস্ব নাস্তিকত্বে আস্তিক,যেমন সকল নাস্তিক ই বলে আল্লাহ নাই ভগবান নাই,আমরা বান্দর থেইক্কা মানুষ হইছি ইত্যাদি কিন্তু এইটাও যে নাস্তিকতার আস্তিকতা সেইটা কি তারা বুঝে!!
ব্লগার ও কবি সোনালী ডানার চিল ও কান্ডারি অথর্ব ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অনুপ্রানিত হইয়া গতকাল ফরেস্ট গাম্প (১৯৯৪) ছবিটি দেখলাম। যার আইএম ডিবি রেটিং ৮.৭/১০। পাঠকরা খুব সহজেই বুঝতে পারছেন কতখানি ভাল একটা ছবি হলে এমন রেটিং আসতে পারে। চলচ্চিত্রটি নির্মান করা হয়েছে লেখক উন্সটম গ্রুমের ২২৮ পৃষ্ঠার উপন্যাস ফরেস্ট গাম্প বই থেকে। সোনালী ডানার চিল ভাই অনুরোধ করেছিলেন ছবিটা দেখে আমার অনূভূতিটুকু প্রকাশ করার জন্য সেই কারণে এই লেখা।

সিনেমার অভিনেতা টম হ্যাঙ্ক “বিশাল মাপের একজন অভিনেতা তার অভিনীত দ্যা টার্মিনাল চলচিত্রটি এর আগে দেখেছিলামএবং অতি আবেগে কেঁদেও ছিলাম” যাই হোক ফরেস্ট গাম্প চলচিত্রটি দেখার পর এক বাক্যে যদি বলি তবে “আমার অনুভূতি শুন্য” সমাজের খুব সাধারণ একটা বিষয়কে উপজীব্য করে গল্প গড়ে উঠেছে। একজন অটিস্টিক শিশু যে সমাজের জন্য পৃথিবীর জন্য অনেক কিছু করতে পারে তা একেবারে পরিচালক সবাইকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। জগতের কোন কিছুই যে হেলা ফেলার জিনিষ না তা এই চলচ্চিত্র দেখলে জ্ঞানী মাত্রই বুঝতে পারবে। আসলে এত সুন্দর করে কিছু কিছু বিষয় পরিচালক রবার্ট জেমেকিস ফুটিয়ে তুলেছেন এক কথায় অনন্য। এই ক্ষেত্রে দু একটা দৃশ্য পটের কথা না বললেই নয়, যখন ফরেস্ট প্রথম নিজ পায়ে দৌড়াতে শেখে সেই দৃশ্যটি আবার গল্পের নায়িকা জেনি যখন সুইসাইড করতে যায় সেই দৃশ্য,হাসপাতালে লেফটেনেন্ট ড্যান যখন ফরেস্ট কে রাতের বেলায় জাপ্টে ধরে তার রাগ অভিমান কষ্ট গুলো প্রকাস করে,ছবির শেষের দিকের দৃশ্য যখন নায়িকা জেনি যখন ফরেস্টকে,ফরেস্ট জুনিয়র এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

আসলে অসাধারণ সেই মুহূর্তগুলি। অভিনয়ের কথা আর কি বলব টম হ্যাঙ্ক অসাধারণ অভিনয় করেছেন(বস মানুষ) তার পাশাপাশি লেফটেনেন্ট ড্যান,সহযোদ্ধা বুবা অনেক অনেক ভাল অভিনয় করেছেন এই চলচ্চিত্রে। ছবিটি দেখার সময় আমার বারবার মনে হয়েছে ফরেস্টের সাথে জেনির আবার দেখা হবে তো? এই টেন্সটা আমাকে ভাবিয়েছে!! অনান্য সিনেমা দেখার সাথে সাথে যেমন পরের দৃশ্য কেমন হবে বলা যায় এখানে কখনোই তা মনে হয় নি। এতক্ষন তো অনেক প্রসংশা করলাম এইবার একটু দোষ বলি সমগ্র ছবিতে অনান্য অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা যত সুন্দর অভিনয় করেছেন সেই তুলনায় নায়িকা জেনির অভিনয় খানিকটা ম্লান মনে হয়েছে। এটা নিতান্তই আমার অভিমত।

কেউ কেউ দ্বিমত পোষন করতেই পারেন কারন আমি চলচ্চিত্র বোদ্ধা নই। যারা ক্লাসিক মুভি দেখেন বা মুভি দেখতে পছন্দ করেন তারা দেখতে পারেন। আর যাদের ভালবাসার মানুষটি তাকে ছেড়ে গেছে তারা এই চলচ্চিত্র দেখে নিজের ভালবাসার জোর বাড়াতে পারেন। সত্যিকারের ভালবাসা ফিরে আসে,ফিরে আসতে হয়। নোট- কোথাও কোন তথ্যভুল বলে থাকলে নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত।

ভুল ধরিয়ে দিলে বাধিত হব।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.